বাংলাদেশে বিনিয়োগকারীদের সেবা আরও সহজ, দ্রুত ও কার্যকর করতে বড় ধরনের কাঠামোগত পরিবর্তন আনছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। বিনিয়োগ প্রক্রিয়ার ধাপগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংস্থাটির সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠন করা হয়েছে। যার ফলে দায়িত্ব ও কর্তব্যে আসবে আরও স্পষ্টতা, সেবা হবে দ্রুততর, আর মান যাচাইয়ের জন্য চালু করা হয়েছে নির্ধারিত সূচক। নতুন কাঠামো সাজানো হয়েছে ইনভেস্টমেন্ট লাইফ সার্কেলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। এ কাঠামো অনুযায়ী বিডায় থাকবে পাঁচটি প্রধান অনুবিভাগ বা উইং ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি, অপারেশনস, ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। গতকাল বিডার মাল্টিপারপাস হলে এ-সংক্রান্ত একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, বিডা অন্যান্য সাধারণ সরকারি দপ্তরের মতো নয়। এটি একটি বিশেষায়িত সংস্থা, যার মূল দায়িত্ব বিনিয়োগকারীদের চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত সাড়া দেওয়া। বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ পরিবেশ দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, তাই বিডাকেও সেই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এ কাঠামোগত সংস্কার আমাদের দেশি ও বিদেশি অংশীজনদের দীর্ঘদিনের পরামর্শের ফল, যা আমরা এখন বাস্তবে রূপ দিচ্ছি।বিডার নতুন কাঠামোগত সংস্কারের অধীনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নির্বাহী সদস্য পদে এখন থেকে বিডার নিজস্ব কর্মকর্তা ছাড়াও বেসরকারি খাতের পেশাজীবীরা অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন, যা আগে শুধু প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি এবং ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন শাখাকে পৃথক ইউনিট হিসেবে গঠন করা হয়েছে। প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় বিশেষ ডেস্ক চালু করা হচ্ছে। বিনিয়োগ সহায়তায় খাতভিত্তিক বিশেষজ্ঞ ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।