পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা সবচেয়ে জরুরি। শেখ হাসিনা হচ্ছেন শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতীক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যদি ক্ষমতায় রাখা যায়, পুরো অঞ্চলের জন্য, আমাদের জন্য; ভারত, নেপাল ও ভুটান প্রত্যেকের জন্য মঙ্গল হবে।’
আজ সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জোহানেসবার্গে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরকারপ্রধানের বৈঠকের সম্ভাবনার কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভবনা আছে। এখনো সময় চূড়ান্ত হয়নি। হেড অব গভর্নমেন্টের সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত শেষ মিনিটে দেয়।শেখ হাসিনা-জিনপিংয়ের আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, ‘আলোচনার শেষ নেই। চীন আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। আমরা অনেকগুলো প্রজেক্ট সই করেছি, চুক্তিপত্রে সই করেছি, প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলারের সই। আর প্রাইভেটে ১৩ মিলিয়ন। তার থেকে আট বছরে চার বিলিয়ন এ পর্যন্ত পেয়েছি, সেগুলো যেন ত্বরান্বিত হয়; সেটা আলোচনা হতে পারে। এগুলো একটা গুরত্বপূর্ণ ইস্যু।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ঋণের সুদের হার কম চাই। এটার ওপর আলোচনা হবে। দুনিয়াব্যাপী তাদের ঋণের সুদের হার বেড়ে গেছে। আমরা বলব, সস্তায় বিবেচনা করলে ভালো হয়। জলবায়ু ইস্যু থাকবে, আমাদের নিয়মিত অভিবাসন থাকে, আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ চাই। বাণিজ্য বাড়াতে চাই।’
চীন বাংলাদেশকে বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য অনেকে ছাড় দিয়েছে জানিয়ে মোমেন বলেন, ‘চায়না বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য আমাদের অনেক ছাড় দিয়েছে। তবুও বাণিজ্য একপেশে হয়ে গেছে। আমরা বলব বাণিজ্য আরও বাড়াও, বিনিয়োগ করো।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ