২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ২৩:৫৭

কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণমন্ত্রী

বক্তব্য দিচ্ছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ উদ্যোগ। কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয়।

বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট গ্রহণকারী জন্মবধির শিশুদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কক্লিয়ার সার্জনদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট গ্রুপ অব বাংলাদেশ অ্যান্ড ইয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম জহরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট গ্রুপ অব বাংলাদেশ অ্যান্ড ইয়ার ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মনি লাল আইচ লিটু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, সারা দেশে এত সংখ্যক কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট হয়েছে এগুলো আসলে সকল ক্ষেত্রেই সফল হয়েছে কি না, সে বিষয়ে সাফল্যের হার তথ্য থাকতে হবে। কত শতাংশ শুনতে পারে এরপর ভালোভাবে কথা বলতে পারে তা নিয়েও তথ্য থাকতে হবে। দেশে ছয়টি হাসপাতালে ইমপ্লান্ট এ কার্যক্রম চলছে। এটি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অন্যতম প্রধান কাজ। এ খাতে প্রতি বছর একটা ভালো বরাদ্দ থাকে এবং সক্ষমতা অনুযায়ী সেই বরাদ্দ প্রতিটি সেন্টারের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়।

মন্ত্রী বিশেষজ্ঞ সার্জনদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, ‌একটি প্রশ্ন উথ্থাপিত হয়েছে, এই ডিভাইসটি পরবর্তীতে নষ্ট হয়ে গেলে, বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটির রিপ্লেসমেন্টের বিষয়ে। এটি অনেক ব্যয় সাপেক্ষ একটি ব্যাপার, সেটি সকল পরিবারের পক্ষে সম্ভব হয় না; সেটি সরকার করবে কি না? এটি অবশ্যই একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত, সরকার প্রাথমিকভাবে যেটি করে দেয়, একটি কস্ট শেয়ারিংয়ের বিষয় থাকতে পারে। যেখানে কোনো একটি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ফান্ড রেইজ করে সেখানে একটি অবদান থাকতে পারে, সেভাবে করতে পারে। কিন্তু সকল ক্ষেত্রেই যদি পুরোটাই আবার সরকার করে তাহলে এই ডিভাইসের যত্নের ব্যাপারটাতে কারো কোনো মনোযোগ থাকবে না। সবসময় সবকিছু বিনামূল্যে দেওয়া সেটা সব সময় ভালো বিষয় নয়। যার যতটুকু সক্ষমতা আছে সে যেন ততটুকু অংশগ্রহণ করে। যার একেবারে নেই তার জন্য রাষ্ট্র অবশ্যই থাকবে। কিন্তু যার সক্ষমতা আছে সে সেই সক্ষমতা অনুসারে যদি অংশগহণ না করে তাহলে যে বিষয়টি পায় সেটির প্রতি যত্ন থাকে না। পরবর্তীতে যাদের রিপ্লেসমেন্ট প্রয়োজন হয়, তাদের আর্থিক অবস্থার বিবেচনায় নিয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে, যেখানে প্রয়োজন থাকবে সেখানে সরকার সাধ্যমতো পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে।

অনুষ্ঠানে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট পাওয়া শিশুরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করে। এর আগে মন্ত্রী কক্লিয়ার সার্জনদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর