মঙ্গলের তাপমাত্রাকে হার মানাল যুক্তরাষ্ট্র। সূর্য থেকে প্রায় সাত কোটি আশি লক্ষ মাইল দূরে থাকা মঙ্গলের তাপমাত্রা মাইনাস ২৫ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করে। সেখানে মন্টানা রয়েছে মাইনাস ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
ইলিনয়েজ, ইন্ডিয়ানা, লোওয়া, মেরিল্যান্ড, মিশিগান, মিনেসোটার তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে মাইনাস ৪০ থেকে মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। বস্টন থেকে বার্মিংহাম চারিদিকে শুধু বরফ আর বরফ। হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা বললেও কম বলা হয়। ঘরবন্দি গোটা মার্কিন মুলুক। প্রবল ঠাণ্ডার জেরে গত দু-তিনদিন স্তব্ধ হয়ে গেছে জনজীবন। স্কুল, কলেজ, অফিস সব বন্ধ।
নিউইয়র্কের তাপমাত্রা টেক্কা দিয়েছে মঙ্গলকে। মাইনাস ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছিল মিনোসোটার এমবারেস। নিউইয়র্ক হিমাঙ্কের ১২ ডিগ্রি নিচে। মন্টানা, উত্তর ও দক্ষিণ ডাকোটা, মিনেসোটা, আইওয়া, উইসকনসিন, মিশিগানের তাপমাত্রা নেমেছে মাইনাস ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আলবামার তাপমাত্রা মাইনাস ১৪, টেন্নেসে তাপমাত্রার পারদ নেমেছে মাইনাস ১৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর যে এক গ্লাস গরম পানি উপরে ছুঁড়লে মাটিতে পড়ার আগেই তা বরফ হয়ে যাচ্ছে। বাতিল হচ্ছে ফ্লাইট। তুষারপাতের শুরুর দিন থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ১৮ হাজার ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। মিশিগানের হেল শহরে লাইফ পুরো হেল। বরফ জমেছে চারিদিক।
পরিস্থিতি শিগগির বদলাবে এমন আশার কথা এখনও শোনায়নি মার্কিন আবহাওয়া দফতর। কারণ, উত্তর মেরু থেকে ধেয়ে আসা হাড় কাঁপানো ঠান্ডা হাওয়া। বিপজ্জনক তুষারপাত এই ঘূর্ণিঝড়ের মূল বৈশিষ্ট্য।