দেনা শোধ করতে ফেসবুকে নিজের স্ত্রীকে বিক্রির বিজ্ঞাপন দিলেন ভারতের মধ্যপ্রদেশের খাড়গাঁও জেলার অধিবাসী দিলিপ মালি! মূল্য হেঁকেছেন এক লাখ রুপি। এ ঘটনা পড়শিদের কাছ থেকে জানতে পেরে সোজা থানায় গিয়ে হাজির দিলিপের স্ত্রী। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা নথিভুক্ত করে অ্যারোড্রোম পুলিশ স্টেশন। পুলিশ এখন দিলিপকে খুঁজছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঋণে জর্জরিত দিলিপ মালি ঋণের দায় মেটাতে শেষ পর্যন্ত স্ত্রীকে বেচার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু স্ত্রীর সাফ বক্তব্য- ঋণ শোধ করতে আর কোনো উপায় কি নেই!
এ ঘটনায় দিলিপের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৯ ধারায় মামলা হয়েছে। এ ধারায় বলা হয়েছে, কথা, অঙ্গভঙ্গি অথবা নারীর অমর্যাদা হয়, এমন কোনো ঘটনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
দিলিপ মালি ফেসবুক পোস্টে তার দুই বছরের মেয়েসহ স্ত্রীর ছবি পোস্ট করেন। তারপর লেখেন- ''বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে ধার করা অর্থ আমি শোধ করতে চাই। সেজন্য আমি আমার স্ত্রীকে বিক্রি করতে যাচ্ছি। কেউ যদি তাকে কিনতে আগ্রহী থাকেন, তাহলে মোবাইল ফোনে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।'' দিলিপ মালি ফেসবুক পোস্টের সঙ্গে তার মোবাইর নম্বর দিয়ে দেন।
দিলিপ মালির স্ত্রী রবিবার তার প্রতিবেশীর কাছ থেকে জানতে পারেন, তাকে বিক্রির জন্য তার স্বামী ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ স্টেশনে গিয়ে অভিযোগ করেন।
তিন বছর আগে দিলিপ মালি স্ত্রীকে ঘরে তোলেন। এক বছরের মাথায় তাদের ঘরে এক মেয়ে সন্তান আসে। বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে ইন্দোরে থাকতেন দিলিপ। সেখানে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে ঋণ নেন তিনি। কিন্তু তা শোধ করতে পারেননি।
দিলিপের স্ত্রী জানান, পাওনাদাররা তাগিদা দিতে থাকলে দিলিপ তার গ্রামের বাড়ি গিয়ে আত্মগোপন করেন। এরপর তার স্ত্রী ভাড়া বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন। এ অবস্থায় দিলিপ মালি তাকে বিক্রির জন্য ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন।
বিডি-প্রতিদিন/০৮ মার্চ ২০১৬/ এস আহমেদ