মসজিদের সামনেই বেতের পর বেত মারা হচ্ছে এক নারীকে। আর বেতের আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে যাচ্ছে ওই নারীর শরীর। যন্ত্রণায় আর্ত চিৎকার করে উঠছেন। আর সেই চিৎকার দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশে।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবর, ইন্দোনেশিয়ার আচেহা প্রদেশে সোমবার এ ঘটনার সাক্ষি স্থানীয় জনগণ। দেশটির শরীয়তি আইনে মসজিদ এতটাই পবিত্র জায়গা যে, তার সামনে আনন্দ উল্লাস, হইহল্লা করা যায় না। ওই নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, আচেহা প্রদেশের রাজধানী বান্দা আচেহার একটি মসজিদের সামনে আনন্দোল্লাসে মত্ত হয়ে পড়েছিলেন একদল মানুষ। তাদের সামনের সারিতে ছিলেন দুই নারীসহ ৫ জন। তাদের সবাইকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরই প্রকাশ্যে অকথ্য বেত্রাঘাত। শরীয়তি আইনে এত দিন প্রকাশ্যে বেত্রাঘাতের বিধান ছিল জুয়াখেলা, পানাসক্তি আর সমলিঙ্গে যৌনতা রোধের জন্য।
প্রত্যক্ষদর্শীরা অবশ্য বলছেন, ওই নারীকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাতের জন্য সরকারিভাবে মসজিদের সামনে আনন্দোল্লাসের অজুহাত দেখানো হলেও, আদৌও কারণটা অন্য। ৩৪ বছর বয়সী ওই নারীর নাকি বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল একজনের সঙ্গে। শরীয়াতি সমাজ এটা মেনে নেয়নি। তাই তাঁকে প্রকাশ্যে ওই ভাবে বেত্রাঘাত করা হয়েছে। যার সঙ্গে ওই নারীর বিবাহ-বহির্ভুত সম্পর্ক ছিল, তাকেও প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করা হয়েছে। দু’জনের জন্যই নাকি বরাদ্দ হয়েছিল চাবুকের সাতটি করে ঘা।
বিডি-প্রতিদিন/২৯ নভেম্বর, ২০১৬/মাহবুব