ভারতের রাজধানী দিল্লীর শহরতলীতে একটি নৃ-গোষ্ঠীর মানুষজন বিয়ের পর, ঘরের স্ত্রীকে দিয়ে জোর করেই চালায় দেহ ব্যবসা! আর এই কাজটি রীতিমতো তাদের গোষ্ঠীর মধ্যে নিয়মে পরিণত হয়েছে! বছরের পর বছর ধরে এভাবেই গৃহবধূদের উপর চলছে স্বামী কর্তৃক পারিবারিক নির্যাতন।
জানা যায়, দেশটির নাজাফগড়ের ধরমপুরা এলাকায় ওই নৃ-গোষ্ঠীর এক কিশোরীর মাত্র ১৭ বছর বয়সে বিয়ে হয়। আর বিয়ের পর থেকেই স্বামী তাকে জোর করে দেহ ব্যবসায় নামায়। রাতের পর রাত ২০০ থেকে ৩০০ রুপির জন্য তাকে রাস্তার আশেপাশে কিবা ঝোপে-ঝাড়ে পুলিশের চোখ ফাঁকি খদ্দেরকে খুশি করে আসছে। সন্তান মা হওয়া পরেও যাদের রেহাই নেই! সারা রাত দেহ ব্যবসা করে রুমি নিয়ে যখন বাড়ি ফিরে, তখন বাড়ির সবাই থাকে রাতের ঘুমে। শুধু ঘুম নেই গৃহবধূর। গোসল সেরে ঝাপিয়ে পড়তে হয় সংসারের কাজে। স্বামী ও শিশুদের ঘুম থেকে তোলে নাস্তা তৈরি করে খাইয়ে তারপর গৃহবধূরা বিশ্রাম নেওয়ার মতো সুযোগ পান। আর এই কাজে এখন তাদের নাকি রাখও হয় না। কারণ গোষ্ঠীর সবাই তো জানে তাদের এই নিশিকর্ম!
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার