ব্রিসবেনের বাসিন্দা ২৭ বছর বয়সী জেনা লুইস ড্রিসকোর বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। মাদক চোরাচালান থেকে শিশু নির্যাতন, মারামারি- এমন ভুরিভুরি অপরাধে নিজেকে জড়িয়েছেন। এবার তার নতুন যে অপরাধের খোঁজ পাওয়া গেল তা বেশ চমকে ওঠার মতোই। জেনা তার পোষা কুকুরের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হয়েছেন! না, ওই কুকুর কিন্তু পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ দেয়নি! অন্য একটা ঘটনার তদন্ত করতে গিয়েই বিষয়টা সামনে চলে আসে।
বিষয়টা আদালতে গড়ালে প্রথমে সবকিছুই অস্বীকার করেন জেনা লুইস। পরে অবশ্য জেরার মুখে স্বীকার করেন। বিচারক টেরি মার্টিন এ অপরাধে জেনার চার বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
চলতি বছরের আগস্টে জেনার বিরুদ্ধে কুকুরের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করাসহ চারটি অভিযোগ আনা হয়। প্রথমে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন জেনা। তবে গতসপ্তাহে প্রথমবার তিনি অভিযোগ স্বীকার করেন। অস্ট্রেলিয়ায় অস্বাভাবিক যৌনতা এবং পশুক্লেশ বিরোধী আইন অত্যন্ত কড়া। আদালতে জেনার পক্ষের আইনজীবী জেমস গডবোল্ট বলেন, এই তরুণী তার প্রেমিকের অনুরোধেই কুকুরের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন।
বিচারক টেরি মার্টিনের উপস্থিতিতে জেনা স্বীকার করে নেন, এর আগে তিনি একজনের শরীরে কাঁটাচামচ ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন এবং একটি শিশুকে কামড়ে দিয়েছিলেন। তিনি মাদকদ্রব্য চোরাচালানের সঙ্গেও জড়িত। ২০১৪ সালে মাদক চোরাচালান বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে জেনার মোবাইলে তিনটি আপত্তিকর ভিডিও পায় পুলিশ। আর তাতেই কুকুরের সঙ্গে জেনার যৌনতার বিষয়টি বেরিয়ে আসে। এরপরই জেনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ