বেশ কয়েকবছর ধরেই বলরাম নাগ (২১) ও শিউলি বিশ্বাস (২০) একে অপরকে ভালবাসে আসছিলো। ভারতের বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষে পরে তারা। শিউলির পরিবার মেনে নেয়নি এই সম্পর্ক। দুই পরিবার আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মেটানোর চেষ্টাও করে বহুবার। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।
সম্প্রতি শিউলির অনুপস্থিতিতে বলরামকে বাড়িতে ডাকেন তার বাবা। শিউলির জীবন থেকে বলরামকে সরে যেতে বললে বলরাম জানান, শিউলিকে সে ভালবাসে। শিউলির জীবন থেকে সরে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। বলরামের এ হেন উত্তর পাওয়ার পরেই রেগে যান শিউলির বাবা।
আর তখনই রেগে বলরামেরকে মারধোর করেন শিউলির কয়েকজন আত্মীয় ও তার বাবা। মারের চোটে মাথায় আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বলরাম। এদিকে প্রেমিককে মারধরের খবর জানতে পেরে লুকিয়ে বনগাঁ হাসপাতালে বলরামকে দেখতে ছোটেন শিউলি। সেখানেই শিউলি তার বাবা ও আত্মীয়স্বজনের কৃতকর্মের জন্য বলরামের কাছে ক্ষমা চান।
আহত বলরাম কালক্ষেপ না করে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। হাসপাতালের বেডে শুয়ে নিজের হাতের আঙুল কেটে রক্ত দিয়ে সিঁদুর দান করেন প্রেমিক বলরাম। সেই রাতেই তারা হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে স্থানীয় মন্দিরে সামাজিক ভাবে বিয়ে করেন।
বিডি প্রতিদিন/০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/ওয়াসিফ