ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি আজ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব’ স্মরণে ছাত্রলীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রনেতা হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করতে। বাঙ্গালি জাতির স্বাধীনতা অর্জনের যে কোনো আন্দোলনে ছাত্রলীগের অবদান ছিল। তাই বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে নিজের স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমারও ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে হাতেখড়ি। ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে কাজ করেছি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রাপ্তির পেছনে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের ভূমিকা রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর প্রত্যেকটি কাজের পেছনে অনুপ্রেরণাদাত্রী হিসেবে কাজ করতেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গমাতার সাথে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যোগাযোগ রাখতেন। প্রত্যেক আন্দোলন সংগ্রামে তার অবদান রয়েছে। তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবনে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। বঙ্গবন্ধু সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেন। এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পেছনেও অনুপ্রেরণা দেন বঙ্গমাতা।