অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারলেন নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের আসামী নূর হোসেন। তিন দিন কারাগারে থাকার পর আজ সোমবার উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হৃদরোগের কারনে এদিন আদালতে উপস্থিত হননি নূর হোসেন। যদিও এই মামলার অন্য দুই আসামী তথা নূরের দুই সহযোগী ওয়াহিদুজ্জামান এবং খান সুমন এদিন বেলা একটা নাগাদ আদালতে উপস্থিত হয়েছেন।
আড়াই মাস ধরে নূর হোসেনের শুনানির পর গত ১৮ আগষ্ট ওই তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পশ্চিমবঙ্গের বাগুইহাটি থানার পুলিশ। আটককৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ১৪ ফরেনারস অ্যাক্ট (অবৈধ অনুপ্রবেশ) -এর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত ২৯ আগষ্ট চার্জশিটের কপি তুলে দেওয়া হয় নূর হোসেনসহ বাকীদের। কিন্তু আদালতের কর্মবিরতির কারণে ওইদিন অনুপস্থিত ছিলেন খান সুমন এবং ওয়াহিদুজ্জামানের আইনজীবী। স্বভাবতই জেলা মুখ্য বিচারক মধুমিতা রায় আগামী ১ সেপ্টেম্বর নূরসহ তিনজনকে আদালতের হাজিরার নির্দেশ দেন। সেক্ষেত্রে আজ সোমবার থেকেই নূর হোসেনসহ বাকীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হত। কিন্তু নূরের অনুপস্থিতির কারণে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর কোন সম্ভাবনাই কার্যত নেই বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনের অপহরণ ও খুনের ঘটনায় প্রধান আসামী নূর হোসেন ও তার দুই সহযোগীকে গত ১৪ জুন কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকার কৈখালি'র একটি বহুতল আবাসন থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আটককৃতদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় দন্ডবিধির ১৪ বিদেশি নাগরিক আইন (ফরেনারস অ্যাক্ট) লঙ্ঘনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর বেশ কয়েকদফা রিমান্ডের পর বর্তমানে দমদম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী আছেন এই তিন আসামী।