প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে গাড়ি পোড়ানো মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির ৪৬ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর পুনর্নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউল হকের আদালতে এ চার্জ শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন মেজবাহ হাইকোর্টে মামলাটি নিয়ে আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় বলে উল্লেখ করে সময়ের আবেদন জানান।
এ আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির দিন পুনর্নির্ধারন করেন আদালত।
গত ২০১২ সালের ২৯ এপ্রিল হরতাল চলাকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এরপর ২০১২ সালের ১০ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি ইন্সপেক্টর নুরুল আমিন এ চার্জশিট দাখিল করেন। দ্রুত বিচার আইনের ৪ ও ৫ ধারায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ১৮ জনকে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে গাড়ি পোড়ানো মামলার আসামিরা হলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, এমকে আনোয়ার, আ স ম হান্নান শাহ, সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খোন্দকার মোশারফ হোসেন, রুহুল কবির রিজভী, ছাত্রদলের সাবেক নেতা কামরুজ্জামান রতন, আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, স্বনির্ভর সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম ফজলুল হক মিলন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সংসদ সদস্য ও ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমীরুল ইসলাম খান আলীম, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকন, ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, ঢাকা মহানগর যুবদলের সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম মজনু, বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দল আহ্বায়ক ইয়াসিন আলী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তির চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক আ. মতিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক কামাল আনোয়ার আহমেদ লিটু, বিএনপি নেতা ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার আবুল বাসার, বিএনপি নেতা ও ৪০ নং ওয়ার্ড কমিশনার আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতা লুৎফর রহমান ওরফে এল রহমান, বিএনপির সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক নবী সোলায়মান, ঢাকার খিলগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি সাবেক কমিশনার ইউনুস মৃধা, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ইসমাইল খান শাহীন, স্বেচ্ছাসেবক দল মোহাম্মদপুর থানা শাখার সভাপতি মান্নান হোসেন শাহীন, ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখার যুগ্ম-সম্পাদক ওবায়দুল হক নাসির ও ছাত্রশিবিরের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সাঈদী।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল হোসেন, ঢাকা মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম বুলবুল ও সেক্রেটারি আব্দুল জব্বার জসিম মামলার শুরু থেকেই পলাতক।