বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘আমাদের বিএনপিতে কর্মীর চেয়ে নেতার সংখ্যা বেশি। এ কারণেই কর্মসূচি দিলে কাউকে মাঠে পাওয়া যায় না। সবাই চায় ঘরে বসে নেতৃত্ব দিয়ে নেতা হতে।’
আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব করেন। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৭ম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দল এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সরকারের ওপর জনগণ কতটা অসন্তুষ্ট তা বোঝা যেত জনগণ যদি তাদেরকে ফাঁকা মাঠে পেত। তবে সরকারের ওপর জনগণ যতটা অসন্তুষ্ট বিএনপির ওপর ততটা সন্তুষ্ট নয়। কারণ, জনগণ বিএনপির কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত আন্দোলন পাচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে থেকে নির্বাচন করে জনপ্রতিনিধি হয়ে ৭ মার্চের ভাষণে জয় বাংলার পাশাপাশি জয় পাকিস্তান বলেছেন শেখ মুজিব। এ সত্যটা আওয়ামী লীগ নেতারা যত দ্রুত বুঝবেন ততই তাদের জন্য মঙ্গল।’
জয় পাকিস্তান বলায় মহাভরত অশুদ্ধ হয়ে যায়নি মন্তব্য করে গয়েশ্বর রায় আরও বলেন, ‘২৫ মার্চের আগ পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমানের যে অবদান তা খাটো করে দেখার চেষ্টা বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়। তবে ২৫ মার্চের পর মহান মুক্তিযুদ্ধে অন্য সবার অবদান অস্বীকার করে সব অবদান মুজিব কোর্টের পকেটে ঢোকানোর চেষ্টা যখন চলে তখনই বিপত্তি ঘটে।’
তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবস পালনের মধ্য দিয়ে দায়িত্ব পালন শেষ হয় না উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত তারেক রহমান মুক্ত পরিবেশে স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করতে না পারবেন, ততদিন পর্যন্ত আমাদের দায়িত্ব শেষ হবে না।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘কেবল খালেদা জিয়া, তারেক রহমান বা আরাফাত রহমানকে নিয়েই জিয়া পরিবার বিস্তৃতি নয়। গোটা ৫৬ হাজার বর্গমাইল জুড়ে ১৬ কোটি জনগণের মধ্যে জিয়া পরিবার বিস্তৃত। সুতরাং সরকার যত চেষ্টাই করুক জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করা যাবে না।’
জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দলের সভাপতি হাজী মো. লিটনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, বিএনপির অর্থনীতি সম্পাদক আবদুস সালাম, সহ-দপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার পারভেজ আহমেদ ও আবু নাছের মুহম্মদ রহমতউল্লাহ প্রমুখ।