আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, 'বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিচারপতিদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিলেন। গণতান্ত্রিক ইতিহাসে এটা বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।'
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটির বীরউত্তম খাজা নাজিমউদ্দিন মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত চলমান রাজনীতি নিয়ে এক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
সুরঞ্জিত বলেন, 'দেশে ভালো কাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত রয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। সংসদে বিল গতকাল উঠেছে তা আগামী ১৭ বা ১৮ তারিখেই পাস হবে।'
তিনি বলেন, 'বিলটি আসার সঙ্গে সঙ্গে সকলে একসঙ্গে বিরুদ্ধে বলা শুরু করেছেন। ২০ দল তো রাস্তায় মিছিলও করে ফেলেছে। পরে ২০ দল বুঝতে পেরে কপাল চাপড়াচ্ছে। কামাল হোসেনরাও পরে বুঝেছে যে, আমাদের যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে যাওয়া ঠিক হয় নাই।'
জিয়াউর রহমানের সংশোধনীর সমালোচনা করে সুরঞ্জিত বলেন, 'জিয়ার সংশোধনীতে হাইকোর্টের বিচারকদের বয়স বাড়ানো এবং কমানোর দূরভিসন্ধিমূলক একটা বিষয় ছিল। সেসময় অনেক বিচারককে সরানো হয়েছে। আমরা আজকে এ অনুচ্ছেদ সংশোধন করছি, যাতে বিচারক অপসারণ অধিকতর গণতান্ত্রিকভাবে করা যায়।'
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এ সভাপতি বলেন, 'বিচারপতিতের অভিশংসনের বিলটি আলোচনায় আসতে না আসতেই যারা সুপ্রিম কোর্ট বারে হৈ চৈ শুরু করে দিয়েছিলেন এটি হয়ত তাদের অজ্ঞাতবশত, না হয় রাজনৈতিক উদ্দেশে। এটা দূরভিসন্ধিমূলক।'
প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন ও আমিরুল ইসলামের সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'যারা সংবিধানের প্রণেতা, যাদের মানুষ শ্রদ্ধা করেন, তাদের মত মানুষরা না বুঝেই গেল গেল বলে চিৎকার চেচামেচি শুরু করলেন। যুদ্ধাপরাধীদের দলে চলে গেলেন। আমি জিজ্ঞেস করতে চাই, আমরা যে বিল এনেছি, এটা কি অধিকতর গণতান্ত্রিক হবে? না জিয়া যেটা নিয়ে এসেছিল সেটা অধিকতর গণতান্ত্রিক ও ফলপ্রসূ?'