আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সফরে আসছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিকিয়াং। ঢাকা-বেইজিং কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৪০তম বার্ষিকীর কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য তার এ সফর। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সফররত চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ দূত চাই ঝি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান।
এ সময় চীনের বিশেষ দূত বলেন, 'এ সফরের ফলে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে।'
চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী লিও ইয়ানডংয়ের ২৪ থেকে ২৬ মে বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার কর্মসূচি উদযাপনে চীনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী উভয়ই বাংলাদেশ সফর করবেন বলে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন।
বিশেষ দূত চাই ঝি বলেন, চীন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।
বাংলাদেশে চীনের সাবেক রাষ্ট্রদূত চাই ঝি ১৫ বছর আগের তুলনায় বর্তমান ঢাকার উন্নয়নের প্রশংসা করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ তার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে এমনটাই আশা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ খুবই বুদ্ধিমান ও কঠোর পরিশ্রমী। এ দেশের উন্নয়নে শান্তি ও স্থিতিশীলতা খুবই জরুরি। তিনি আঞ্চলিক উন্নয়নে চীনের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থনের প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে চীন কর্তৃক প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক করিডোরে ঢাকা ও চট্টগ্রাম যুক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি চীনের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় চট্টগ্রামে জমি বরাদ্দের কথা উল্লেখ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ মে ২০১৫/ এস আহমেদ