রংপুরের কাউনিয়ায় নিখোঁজের একদিন পর মাটির নিচে পুঁতে রাখা অবস্থায় মোবারক আলী (৩৫) নামের কৃষক দলের এক নেতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নজরুল ইসলাম নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পূর্ব বিরোধের জেরে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে হত্যা করে, মোটরের পানি দিয়ে রক্ত ধুয়ে ফেলে এবং লাশ মাটিচাপা দেয়। হত্যার অভিযোগে নিহতের মা মোছাঃ মমেনা খাতুন (৬৮) সাত জন নামীয় ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। নিহত মোবারক আলী কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের চরগনাই এলাকার ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে। তিনি টেপামধুপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২৫ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মোবারক আলী বাসা থেকে কাউনিয়ার শাহী মার্কেটের উদ্দেশ্যে রওনা হন। রাত আনুমানিক ৯টা ১৫ মিনিটে স্থানীয় আজিজুল ইসলামের মুদি দোকান থেকে কেনাকাটা শেষে বাড়ি ফেরার পথে তিনি নিখোঁজ হন। পরদিন খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে স্থানীয় আজগর আলীর জমিতে মোবারকের ব্যবহৃত টর্চলাইট ও মোবাইল ফোন পাওয়া যায়।
পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজ সংক্রান্ত জিডি করলে পুলিশ অনুসন্ধানে নামে। একইদিন সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। শুক্রবার রাতে বিশ্বনাথ এলাকায় মামলার আসামি নজরুল ইসলামের বাড়ির পশ্চিম পাশে রান্নাঘরের পেছনে নতুন খোঁড়া মাটিতে গাছ লাগানো অবস্থায় সন্দেহ হলে স্থানীয়দের সহায়তায় মাটি খুঁড়ে প্রথমে মোবারকের লুঙ্গি এবং পরে লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় নজরুল ইসলাম কৌশলে পালিয়ে যান।
কাউনিয়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সুরতহালকালে দেখা যায়, মোবারকের মাথা, পিঠ, মুখের চোয়াল ও গলার অংশসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পরে এজাহারনামীয় ২নং আসামি বিশ্বনাথ এলাকার কোমল বৈরাগীর ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম (৪০)কে গ্রেফতার করা হয়।
কাউনিয়া থানার ওসি আব্দুল লতিফ শাহ জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল