ঝিনাইদহে সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে চরম বিরোধের জেরে বাবার মরদেহ দাফনে বাধা দিয়েছে দুই সংসারের সন্তানরা। প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে উত্তেজনার পর পুলিশ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় লিখিত সমঝোতার মাধ্যমে অবশেষে মরদেহ দাফন সম্পন্ন হয়। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের কোলা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কোলা গ্রামের বাসিন্দা লেদু দেওয়ান (৮০) শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি দুই সংসারে মোট ১০ সন্তান রেখে গেছেন।
স্থানীয়রা জানান, মৃত্যুর আগে লেদু দেওয়ান তার সব সম্পত্তি দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার সন্তানদের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন। এ নিয়ে প্রথম সংসারের সাত সন্তান এবং দ্বিতীয় সংসারের তিন সস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই তীব্র দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। বাবার মৃত্যুর পর দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানরা দাফনের আয়োজন করলে প্রথম স্ত্রীর সন্তানরা এতে বাধা দেন। তাদের সাফ কথা সম্পত্তি ভাগ না করা পর্যন্ত মরদেহ দাফন করতে দেওয়া হবে না।
এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বাগবিতণ্ডা, যা একপর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে স্থানীয়রা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন পুলিশ কর্মকর্তারা। দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা আলোচনার পর সমঝোতা হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানরা প্রথম স্ত্রীর সন্তানদের ৭০ শতক জমি দেওয়ার লিখিত প্রতিশ্রুতি দেয়। এই লিখিত চুক্তির পরই রাত ৮টার দিকে প্রয়াত লেদু দেওয়ানের মরদেহ দাফন করা সম্ভব হয়।
লেদু দেওয়ানের প্রথম স্ত্রীর মেয়ে হামিদা খাতুন জানান, বাবা আমাদের প্রাপ্য সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে সব তার দ্বিতীয় স্ত্রী মনোয়ারা ও তার সন্তাদের দিয়ে গেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই