প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে বিশেষায়িত জ্ঞানের বিকল্প নেই। এসময় তিনি বিশেষায়িত জ্ঞানের যথার্থ ব্যবহার এবং সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে, এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।
বুধবার রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ ও জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এনএসটি) ফেলোশিপ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় গবেষকদের মাঝে বিশেষ অনুদানের চেক বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকের যারা শিশু তারাই আগামী দিনে কর্ণধার হবে। আর সেটা হতে হবে আরো বেশি শিক্ষিত হয়ে, জ্ঞান অর্জন করে। জ্ঞান-বিজ্ঞান ছাড়া, শিক্ষিত জাতি ছাড়া এদেশ কোনোদিন উন্নত হবে না। তিনি বলেন, ২০৪১ সালে আমাদের নতুন প্রজন্ম যেন উন্নত জীবন পায় সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ অন সায়েন্স অ্যান্ড আইসিটি’ প্রকল্প থেকে এসব ফেলোশিপ ও অনুদান দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী জানান, এ প্রকল্পের আওতায় বিদেশে ৫০ জন এমএস, ৬০ জন পিএইচডি, দেশে ১০০ জন পিএইচডি এবং ১১ জন পিএইচডি উত্তর গবেষণা ফেলোশিপ পেয়েছেন। ইতোমধ্যে বিদেশে ৩৭ জন এমএস, ৩০ জন পিএইচডি এবং দেশে ৩৮ জন পিএইচডি ও ৮ জন পিএইচডি উত্তর কোর্সে গবেষণা কার্যক্রম শেষ করেছেন।
মন্ত্রণালয় এমফিল, পিএইচডি ও পিএইচডি উত্তর শিক্ষার্থীদের ‘জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ’ দিচ্ছে। ২০০৯-১০ থেকে ২০১৪-১৫ অর্থবছর পর্যন্ত ৪ হাজার ৮৭২ জন তরুণ গবেষকের মধ্যে ৩১ কোটি ২০ লাখ ২৬ হাজার টাকা ফেলোশিপ দিয়েছে। চলতি অর্থবছরে ১ হাজার ৪৩৮ জন গবেষককে ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৬৩ হাজার ৩০০ টাকা দেওয়া হবে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় প্রণোদনা হিসেবে মন্ত্রণালয় ‘গবেষণা অনুদান’ দিচ্ছে। ২০০৯-১০ থেকে ২০১৪-১৫ অর্থবছর পর্যন্ত ১ হাজার ৩৭২টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৭ কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা গবেষণা অনুদান দিয়েছে। বর্তমান অর্থবছরে ৩৯০টি প্রকল্পের মাধ্যমে ১২ কোটি ৮ লাখ টাকা দেওয়া হবে। শিগগিরই বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ প্রকল্পটিকে ট্রাস্টে রূপান্তর করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
বিডি-প্রতিদিন/ ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা