টানা ৬ দিনের নৌযান ধর্মঘটে জ্বালানিবাহী জাহাজ (অয়েল ট্যাংকার) চলাচল বন্ধ থাকায় বহির্নোঙ্গরে মাদার ভেসেল থেকে ফার্নেস অয়েল আনা যাচ্ছে না। এ কারনে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে। ফলে বরিশালসহ সারা দেশে লোডশেডিং চরম আকার ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু।
টানা নৌযান ধর্মঘটের ক্ষতিগ্রস্থ প্রভাব প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, বহু মাদার ভেসেল পন্য খালাস করতে পারছে না। ফার্নেস অয়েলের অভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তাই শোডশেডিং বেড়েছে। সংকট দেখা দিচ্ছে পেট্রল, ডিজেলসহ অন্যান্য জ্বালানি, খাদ্য পন্য, নির্মান সামগ্রীর। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। সংকটের কারনে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি পেলে তার খেসারত দিতে হবে সাধারণ মানুষকে। এই সমস্যা দ্রুত নিরসন না হলে সংকট বাড়বে।
শুধু বহির্নোঙ্গরেই নয়, দেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন নদী বন্দরসহ সর্বত্র পণ্যবাহী, বালুবাহী, তেলবাহী ট্যাংকার, কোস্টারসহ ছোট ছোট নৌযান চলাচলও বন্ধ রয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোয়িশেনের বরিশাল জেলা কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মাস্টার একিন আলী জানান, সর্বনিম্ন মজুরি ১০ হাজার টাকা প্রদানসহ ১৫ দফা দাবিতে গত ১৯ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নৌযান ধর্মঘট শুরু হয়। এতে সারা দেশে নৌযোগাযোগ বিশেষ করে নদী মাতৃক বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলে যাত্রী পরিবহন চরম সংকটে পড়ে। এর দুই দিন পর জনস্বার্থের কথা চিন্তা করে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল ধর্মঘটের আওতামুক্ত ঘোষণা করে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। কিন্তু পণ্য ও জ্বালানিবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ এপ্রিল ২০১৬/ এস আহমেদ