আসছে ঈদুল আজহার সময় কোরবানির পশু জাবাই করার জন্য দেশের ৫৩ জেলা ও ১১ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬,২৩৩টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া সারাদেশে আনুমানিক ৩৫-৪০ লাখ পশু এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় ৭ লাখ ১৬ হাজার ৯৪০টি পশু কোরবানি হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
বুধবার সচিবালয়ে কোরবানির পশু জবাই ও দ্রুত বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন উপস্থিত রয়েছেন।
সভার শুরুতে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক বলেন, ‘আসন্ন কোরবানিতে ১১ সিটি করপোরেশনে ২ হাজার ৯৪৩টি পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এছড়া জবাইয়ের জন্য ৪ হাজার ৮৮৫ জন ইমাম ও মাংস প্রক্রিয়ার জন্য ১২ হাজার ৬৩৮ জন কসাই নির্ধারণ করা হয়েছে।’
সচিব বলেন, ‘এবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সম্ভাব্য কোরবানি দাতার সংখ্যা এক লাখ এক হাজার ৪১০ জন, কোরবানির জন্য সম্ভাব্য পশুর সংখ্যাও এক লাখ এক হাজার ৪১০টি। উত্তরে ৫৬৭টি পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া পশু জবাইয়ের জন্য ৭৮৫ জন ইমাম ও মাংস প্রক্রিয়ার জন্য ৪৮৪ জন কসাই থাকবেন।’
আবদুল মালেক আরও বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে সম্ভাব্য কোরবানি দাতার সংখ্যা ২ লাখ, কোরবানির জন্য সম্ভাব্য পশুর সংখ্যা ২ লাখ ৬০ হাজার। দক্ষিণে ৫৮৩টি পশু জবাইয়ের স্থান, ৮৯৩ জন ইমাম ও ৪৫৪ জন কসাই নির্ধারণ করা হয়েছে।’
বিডি-প্রতিদিন/১১ আগস্ট, ২০১৬/মাহবুব