মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তার নামে চাঁদাবাজি সহ্য করা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন তিনি। এছাড়া বিএনপির ত্রাণ কার্যক্রমে বাধা দেয়ার অভিযোগের বিষয়ে তীব্র সমালোচনাও করেন মন্ত্রী।
শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির বৈঠকে ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গাদের সাহায্যের জন্য চাঁদাবাজির মহোৎসব যেন না হয়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।এক্ষেত্রে চাঁদাবাজি বা জোর-জবরদস্তি সহ্য করা হবে না। এটি তো মানবিক ব্যাপার, যারা স্বেচ্ছায় সাহায্য করবে সেটি আমরা গ্রহণ করবো। এছাড়া, দলের দুর্যোগ ও ত্রাণ উপকমিটি আগামী শীতকে সামনে রেখে ২০ হাজার কম্বল রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিতরণ করবে বলেও জানান কাদের।
এসময় বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি তো ত্রাণ দিতে যায় না, তারা যায় কয়েকটা নিউজ আর ছবির জন্য যায়। কয়েকটা ট্রাক সাজিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। এর ভেতরে কি আছে, না আছে অনেক কথাই আছে। এসব আমি বলতে চাই না। অনেক কিছু থাকলেও থাকতে পারে। এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই।
শৃঙ্খলা না মানায় বিএনপি বাধার সম্মুখীন হয়েছে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, একটা রুলস আছে, জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে কমিটির মাধ্যমে সবাই ত্রাণ দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীসহ আমি নিজেও সেভাবে দিয়েছি। কিন্তু বিএনপি নিয়ম মানতে চায় না।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/ওয়াসিফ