জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে জনগণের মৌলিক অধিকারগুলো সংরক্ষণ করার নিশ্চয়তা দেয় সংবিধান। সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদ সকল কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু। সংসদে সকল আইন প্রণীত হয়। আবার প্রশ্ন- জিজ্ঞাসা ও উত্তরের মাধ্যমে সরকার সংসদের কাছে জবাবদিহি করে। ৭১ বিধিতে আনা এমপিদের জনগুরুত্ব সম্পন্ন নোটিসের জবাবও দেন মন্ত্রীগণ। অন্যদিকে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মাধ্যমে সরকারের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সংসদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
রাজধানীর ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে (সিএসসিএসসি) ডিফেন্স গ্র্যাজুয়েশন কোর্সে রিসোর্সপার্সন হিসেবে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
‘পার্লামেন্ট: রোল, ফাংশান অ্যান্ড পার্লামেন্টারি প্রাক্টিসেস ইন দ্য কনটেক্সট অব পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসি’ শীর্ষক সেশনটি অনুষ্ঠিত হয় কলেজের শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে । এসময় কলেজের কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল এনায়েত উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষক, ডিফেন্স সার্ভিস কোর্সে ২৩৫ জন অংশগ্রহণকারী এবং ফ্যাকাল্টি মেম্বার ও স্টাফ অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা শেষে স্পিকার বাংলাদেশের সংবিধান ও জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির আলোকে প্রশিক্ষণার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও জবাব দেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আরও বলেন, সংবিধান হচ্ছে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন, যেখানে মৌলিক নীতিগুলো লিপিবদ্ধ থাকে- যা জনগণের বিশ্বাস ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। তার দীর্ঘ ২৩ বছরের লড়াই সংগ্রামের ফসল এ সংবিধান। স্বাধীনতার পর অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর জাতিকে তিনি উপহার দিয়েছিলেন এ অনন্য সংবিধান। বাংলাদেশের সংবিধানে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং জাতীয়তাবাদ- এ চারটি মূলনীতিকে সমুন্নত রাখা হয়েছে, যার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ-নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা ও বিচার বিভাগ-এই সংবিধান অনুযায়ী জনগণের স্বার্থেই তার কার্যাবলি সম্পাদন করে। তবে জনগণের কল্যাণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের কার্যাবলির মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে। নির্বাহী বিভাগ সংসদের কাছে জবাবদিহি করে থাকে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম