শিরোনাম
১ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৬:৪৭

বাংলাদেশে এইডসে এক বছরে ১৪১ মানুষের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশে এইডসে এক বছরে ১৪১ মানুষের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশে এইচআইভি–এইডসে আক্রান্ত হয়ে গত এক বছরে ১৪১ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে দেশে এইচআইভি শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৮৩ জন মানুষ। 

আজ মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর), বিশ্ব এইডস দিবস এ উপলক্ষে রাজধানীতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানায় জাতীয় এইডস নিয়ন্ত্রণ (এসটিডি) কর্মসূচি। ইউএনএইডস, ইউএনএফপিএ, ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, সেভ দ্য চিলড্রেন ও আইসিডিডিআর,বি'র সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এসটিডি কর্মসূচি। 

সারা বিশ্বের সঙ্গে প্রতিবছরের মতো এবারও দিবসটি বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘সারা বিশ্বের ঐক্য, এইডস প্রতিরোধে সবাই নেব দায়িত্ব’। 

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান।

দেশের এইডস পরিস্থিতি তুলে ধরে এইডস-এসটিডি কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক মো. সামীউল ইসলাম অনুষ্ঠানে বলেন, বাংলাদেশে এইডস সংক্রমিত মানুষের অনুমিত সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ৩২ জন। আর এই রোগে মারা গেছেন ৬৫৮ জন। দেশে এইডস সংক্রমণের হার শূন্য দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। 

তিনি জানান, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৭৬ শতাংশ, নারী ২১ শতাংশ ও তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী তিন শতাংশ। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ২১৮ জন, চট্টগ্রামে ১২৭ জন, খুলনা বিভাগে ৬৪ জন, সিলেট বিভাগে ৪৫ জন, বরিশাল বিভাগে ২৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৫ জন ও রংপুর বিভাগে ১৫ জন রয়েছেন।

নতুন আক্রান্তদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে ১২ দশমিক ২৪ শতাংশ, ২৫ থেকে ৪৯ বছররের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭৪ দশমিক ২০ শতাংশ, ১৯ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ, ১০ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে দুই দশমিক শূন্য সাত শতাংশ। ছয় থেকে নয় বছরের মধ্যে শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ। এবং শূন্য থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে এক দশমিক ৮৮ শতাংশ।

তাদের মধ্যে বিবাহিতরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত। তাদের সংখ্যা ৭০ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। অবিবাহিতদের সংখ্যা ২৩ দশমিক ১৬ শতাংশ।

তিনি আরও জানান, ২০২০ সালে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৪ লাখ। এ বছর করোনার কারণে নমুনা পরীক্ষা কম হয়েছে। এর আগের বছর নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ৩৩ লাখের বেশি।

ডা. মো. শামিউল ইসলাম বলেন, সারাদেশে ২৩ জেলার ২৮টি হাসপাতালে এইচআইভি টেস্ট চলছে। জিন এক্সপার্ট মেশিন এইচআইভি ভাইরাস শনাক্তে ব্যবহার করা হচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

  

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর