১ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৮:৩০

নিরাপদ সড়ক আইন বাস্তবায়নে বাধা পরিবহন খাত: ইলিয়াস কাঞ্চন

অনলাইন ডেস্ক

নিরাপদ সড়ক আইন বাস্তবায়নে বাধা পরিবহন খাত: ইলিয়াস কাঞ্চন

ফাইল ছবি

নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের চেয়ারম্যান ও চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে নিরাপদ সড়ক আইন করা হলেও, কোনো এক অদৃশ্য কারণে বারবার হোঁচট (পূর্ণ বাস্তবায়নে) খাচ্ছে। যদিও যুগোপযোগী এই আইনটি হওয়ার পর পরিবহন খাত থেকে সাধুবাদ জানানো হয়, কিন্তু আইনটি বাস্তবায়নের পথে তারাই (পরিবহন খাত) আবার কালক্ষেপণ করতে চাইছে ও বাধার সৃষ্টি করছে।

নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের ২৭ বছর পূর্তিতে আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় এসব কথা বলেন তিনি।

বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এতে  অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, জিটিভির এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, আরটিভির সিইও সৈয়দ আশিক রহমান, বুয়েটের অধ্যাপক সামছুল হক, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান প্রমুখ।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়ন করা এখন দেশের ১৮ কোটি মানুষের দাবি। প্রায় তিন দশক হতে চলল সড়ককে নিরাপদ করার সামাজিক আন্দোলন চালিয়ে আসছে নিসচা। এই সামাজিক আন্দোলনের শুরু থেকেই আমরা চালক, মালিক, যাত্রী, প্রশাসন সবাইকে যার যার দায়িত্ব এবং কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করতে চেয়েছি। আজও সেই কাজটি করে চলেছি। এই দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা একটি স্পষ্ট বোধ করতে পেরেছি যে, সড়ককে নিরাপদ করার কাজটি অত্যন্ত কঠিন। মালিক, প্রশাসন ও যাত্রীদের অধিকাংশ শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে কতটা আন্তরিক, সেটাই যেখানে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে, সেখানে কতটুকু সচেতনতা আশা করা যায়? যে কারণে প্রশ্ন উঠেছে, সড়ক দুর্ঘটনা কেন রোধ হচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার পর আমরা এতগুলো সময় পার করলাম, অথচ সড়ক দুর্ঘটনায় সচেতনতার ক্ষেত্রে তার ফলাফল শূন্যই বলা চলে। ২৫ বছরের পাকিস্তানের নির্যাতন থেকে মুক্ত হতে পারলাম মাত্র ৯ মাসে। ৯ মাসে স্বাধীনতা অর্জন করতে পারলে ৫০ বছর পার হতে যাচ্ছে, আমরা সড়ক দুর্ঘটনাকে কমিয়ে একটি জায়গায় দাঁড় করাতে পারছি না কেন? তাহলে কি আমরা সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আন্তরিক না? আর এই আন্তরিকতার অভাব কোথায়?’

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

  

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর