এবার কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার রাতের কোনও এক সময় উপজেলার কয়া মহাবিদ্যালয়ে স্থাপিত বাঘা যতীনের নাক ও ডান গালের কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়।
শুক্রবার সকালে বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলাম আতিক জানান, বিষয়টি জানার পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা খুঁজে বের করতে কাজ করছে পুলিশ।
কয়া গ্রামে বাঘা যতীনের বাস্তুভিটায় স্থাপিত কয়া মহাবিদ্যালয়ে কয়েক বছর আগে স্থাপন করা হয় বিপ্লবীর আবক্ষ এ ভাস্কর্যটি।
এদিকে ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদ করেছে জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
প্রসঙ্গত,বাঘা যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। তবে তিনি সবার কাছে ভাঘা যতীন নামেই পরিচিত। ১৮৭৯ সালের ৭ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামে মাতুলালয়ে এই বিপ্লবীর জন্ম। মাত্র ৩৬ বছর বয়সে ১৯১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ইংরেজ বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে নিহত হন বিপ্লবী বাঘা যতীন।
ব্রিটিশ ভারতে বাঙালিসহ ভারতবর্ষের সব জাতিসত্তার স্বাধীনতার সংগ্রাম ছিল এক সূত্রে গাঁথা। প্রধান লক্ষ্য ছিল ইংরেজদের বিতাড়ন করা। আর ইংরেজ ঔপনিবেশিক শাসকদের বিরুদ্ধে যারা স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম করেছেন, যাদের আত্মদান ইংরেজ শাসকদের বুকে কাঁপন ধরিয়েছে, তাদের অন্যতম বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। যিনি ‘বাঘা যতীন’ নামে বেশি পরিচিত। দেশমাতৃকার প্রতি গভীর ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা, অপরিসীম সাহস ও শৌর্যবীর্য তাকে অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের প্রথম সারিতে স্থান দিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম