এখন থেকে ঘরে বসেই অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর, মিউটেশন ফি, খতিয়ান ফিসহ যাবতীয় ফি পরিশোধ করা যাবে। এ জন্য বিকাশ, নগদ, উপায় ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের সঙ্গে সমঝোতাস্মারক সই করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার সকালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই চারটি আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার দাস, বিকাশের জেনারেল ম্যানেজার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এসএম বেলাল আহমেদ, নগদের পক্ষে চিফ ইনফরমেশন অফিসার আশীষ চক্রবর্তী, উপায়ের পক্ষে সাইফুল হক এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের পক্ষে অ্যাক্টিং ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরিফ কাদরি। এ সময় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, ভূমি সংস্কার কার্যালয়ের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর, মিউটেশন ফি, খতিয়ান ফিসহ যাবতীয় ফি পরিশোধে অ্যাপ্লিকেশন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নাগরিকরা ঘরে বসেই অনলাইনে সব ফি দিতে পারবেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সব সেবা স্থাপনের জন্য ভূমিসেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভূমি মন্ত্রণালয়, পেমেন্ট গেটওয়ে চ্যানেল সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান উপায়, নগদ ও বিকাশ এবং ব্যাংকিং সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের (ইউসিবিএল) মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় মধ্য দিয়ে ইউসিবিএল হবে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়কারী তথা সেটেলমেন্ট ব্যাংক। বাংলাদেশের নাগরিকরা উপায়, নগদ, বিকাশ ও অন্য পেমেন্ট গেটওয়ে চ্যানেলের মাধ্যমে তাদের জমির বিভিন্ন ফি দিতে পারবেন।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমাদের লক্ষ্য দুর্নীতি কমানো এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। হিউম্যান টু হিউম্যান টার্চ কমাতে চাচ্ছি। আমরা স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও জবাবদিহি- এই তিনের সমন্বয়ে মন্ত্রণালয়ের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বর্তমানে ভূমিকেন্দ্রিক নানা সেবা ডিজিটাইজেশন করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে ই-পর্চা (খতিয়ান), ই-নামজারি (ই-মিউটেশন) ও ভূমি উন্নয়ন কর (এলডি ট্যাক্স) তথা জমির খাজনা। জমির অন্য সেবাগুলো পর্যায়ক্রমে অনলাইন সেবার আওতায় আসবে। ফলে নাগরিকরা তার জমি সম্পর্কিত কর ও ফি অনলাইনে দিতে পরিশোধ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, পুরো বিষয়টি ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকবে। ফি পরিশোধের পর ভূমিসেবা গ্রহীতারা কিউআর কোড যুক্ত রশিদ পাবেন এবং সেবাটি গ্রহণ করতে পারবেন। উপায়, বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে আদায় করা অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে সেটেলমেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হয়ে ই-চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে স্থানান্তরিত হবে। অনলাইন সেবা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন শেষে সেবাটি গ্রহণ করা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ