মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে চলা কঠোর লকডাউনের পঞ্চম দিনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানবাহন ও মানুষের চলাচল বেড়েছে। সকালে মানুষের চলাফেরা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে জরুরি সেবা, ব্যক্তিগত যানবাহন ও রিকশা চলাচল বাড়তে থাকে।
আজ সোমবার রাজধানীর মিরপুর, কাকরাইল, মালিবাগ, মৌচাক, পল্টন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ সড়কে যান চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাদাম বিক্রেতা মো. সোহেল। গাবতলী গুদারাঘাট থেকে হেঁটে হেঁটে এসেছেন মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায়। তিনি বলেন, সকাল ৯ টায় বাসা থেকে বের হয়েছি। ‘লকডাউনের প্রথম তিনদিন ঘর থেকে বের হইনি। রবিবার থেকে বের হওয়া শুরু করেছি। আমার আশপাশের লোকজন সবাই বের হয়, তাই আমিও বাসা থেকে বের হয়েছি।
সোহেল বলেন, আগে বাদাম বেচা-কেনা ভালোই হতো। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত হাজার দেড় হাজার টাকার বাদাম বিক্রি করতাম। ‘লকডাউনে’ ৫০০ টাকার মতো বেচা-বিক্রি হয়। কি আর করব, পেটের দায়ে আর বাবা-মায়ের জন্য ঘর থেকে বের হয়ে এসেছি। খেয়ে-পরে বেঁচে থাকতে তো হবে।
মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর চেকপোস্টে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, রাজধানীতে ব্যক্তিগত ও জরুরি সেবার যানবাহন কোথা থেকে আসছে এবং কোথায় যাবে জিজ্ঞেস করে চেকপোস্ট থেকে ছাড়া হচ্ছে। যারা যুক্তিযুক্ত কারণ দেখাতে না পারছে, তাদের জরিমানা করা হচ্ছে। আজ সকাল থেকে পাঁচটি মামলা করা হয়েছে।
এদিকে, কয়েকজন দিনমজুরকে রাজধানীর শান্তিনগর মোড়ে কাজের সন্ধানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। অবশ্য তাদের বেশিরভাগেরই মুখে মাস্ক নেই। আবার যাদের আছে, তাও সেটি গলায় ঝুলানো। মাস্ক না পরার কারণ জানতে চাইলে একজন বলেন, ‘স্যার গরীব মানুষ। আমাগো করোনা ধরব না। করোনা গরীব মানুষ গো ধরে না। আমরা কাম পাই না। হেই বেয়ান বেলা থেইককা কামের জন্য রাস্তায় বইসা আছি। মাস্ক পইরা কী হইবে?’
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর