রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় ৩০০ অতিদরিদ্র পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। এর মধ্য দিয়ে রংপুর জেলার ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কালের কণ্ঠ শুভসংঘের সহযোগিতায় আজ বৃহস্পতিবার খালাশপীর বঙ্গবন্ধু ডিগ্রী কলেজ মাঠে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসুন্ধরা গ্রুপের এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
বসুন্ধরা গ্রুপের ত্রাণ সহায়তা পেয়ে সুফিয়া বেগম নামের এক নারী বলেন, তোমাদের ত্রাণ দিয়া আমার কিছু দিন চলে যাইবো। আমি একলা মানুষ অনেক দিন খাইতে পারবো। কেউ আমারে সাহায্য করে না। তোমরা আজ খাবার দিলা, বেঁচে থাকো তোমরা। অনেক দোয়া করি তোমাগো বসুন্ধরা গ্রুপকে।
কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন আজিজুর রহমান। করোনাকালে কারো থেকে কোনো ধরনের খাদ্য সহায়তা পাননি। বসুন্ধরা গ্রুপের ত্রাণ সহায়তা পেয়ে তিনি বলেন, ছেলেমেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে আছি। আপনাদের ত্রাণ দিয়ে ৫-৬ দিন ডাল-ভাত খেতে পারবো। কেউ তো আমাদের সাহায্য করে না। আপনারা যা করলেন তাই অনেক। আপনাদের মঙ্গল হোক।
পীরগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণ সহায়তা দেওয়ায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান অতিথিরা। রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেছেন, করোনা দুর্যোগের সময় বসুন্ধরা গ্রুপ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এটা খুবই ভাল উদ্যোগ। সরকারের পাশাপাশি এই সহয়তার কষ্টে থাকা মানুষের খুব উপকারে আসবে। বসুন্ধরা গ্রুপের কালের কণ্ঠ পত্রিকার শুভসংঘের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। করোনার কারণে কর্মহীন মানুষ কষ্টে ছিলেন। তাদের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়ায় অসহায় মানুষগুলোর খুব উপকার হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পীরগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলাউদ্দীন ভূঞা জনী, খালাশপীর বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মমিনুল ইসলাম বলেন, কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামীম আল মামুন, সদস্য শরীফ মাহ্দী আশরাফ জীবন, থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক আতাউল গণি, শুভসংঘের পীরগঞ্জ উপজেলার উপদেষ্টা জুলফিকার হায়দার আলী, মিজানুর রহমান মিজান, সভাপতি আহসান হাবীবসহ অন্যান্যদের মধ্যে রুজবেল মিয়া, মুসা, মিলন, ফাইজল, ফিরোজ, বক্কর, শরিয়াতুল্লা, সুমাইয়া, মাসুদ, রুবেল প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক