জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে রাষ্ট্রীয়ভাবে ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস পালন করাসহ তিন দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন সাবেক এমপি সোহেল তাজ।
সোমবার স্পিকারের অনুপস্থিতিতে স্পিকারের একান্ত সচিব এম এ কামাল বিল্লাহর কাছে তিনি স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।
অপর দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার গঠনের দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা এবং জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনীসহ পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তক ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্তকরণ।
মুক্তিযুদ্ধকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনের ছেলে সোহেল তাজ ২০০১ সালে প্রথম নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। পরে ২০০৮ সালের ভোটের পর সরকার গঠনের সময় তাকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী করেন শেখ হাসিনা। তবে ৫ মাস পরই পদত্যাগ করেন সোহেল তাজ। ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল সংসদ সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি। তারপর রাজনীতি থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তিনি। তার সংসদীয় আসনে (গাজীপুর-৪) এখন সংসদ সদস্য তারই বোন সিমিন হোসেন রিমি।
এর আগে বিকালে মানিক মিয়া এভিনিউতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও পদযাত্রা শেষে তিনি এ স্মারকলিপি স্পিকারের একান্ত সচিবের কাছে হস্তান্তর করেন। এর আগে বিকাল ৩টায় মানিক মিয়া এভিনিউ সংলগ্ন গোল চত্বরে (খেজুর বাগান) জড়ো হন সোহেল তাজ ও গাজীপুরের কাপাসিয়ার বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী।
এখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সোহেল তাজ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণ ও তুলে ধরাই নিশ্চিত করতে পারে বাংলাদেশের সুন্দর ভবিষ্যৎ, যা একটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে সংসদে উপস্থাপনের জন্য আমরা স্মারলিপি দিচ্ছি। পরে শতাধিক লোকবল নিয়ে সোহেল তাজ দক্ষিণ প্লাজার সামনে ১২ নম্বর গেটে এলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় অনুমতি সাপেক্ষে সোহেল তাজ একাই স্পিকারের দপ্তরে যান।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন