৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ২১:০০

গুলিতে নিহত ও বিএনপির নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতারের প্রতিবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

গুলিতে নিহত ও বিএনপির নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতারের প্রতিবাদ

আগামী ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গুলি করে মানুষ হত্যা এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। ঘটনার পর আজ সন্ধ্যায় মঞ্চের নেতৃবৃন্দ বিএনপির কার্যালয় অভিমুখে যাত্রা করলে নাইটিঙ্গেল মোড়ে বাধা দেয় পুলিশ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান সরকার নৃশংসতার সব সীমা অতিক্রম করেছে। পুলিশ এবং দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে তারা নিরীহ নেতাকর্মীদের উপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে দুই জন মানুষকে হত্যা করেছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর নৃশংস হামলা চালিয়ে সরকার ভয়াবহ, ভীতিকর ও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। কর্মীদের গণ হারে গ্রেফতারের পাশাপাশি তারা শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এটি সরকারের চূড়ান্ত ফ্যাসিবাদী আচরণের বহিঃপ্রকাশ। অবৈধ ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দিশেহারা হয়ে সরকার গণ আন্দোলন দমনের জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে। গুলি করে মানুষ মেরে কোন স্বৈরাচার টিকতে পারেনি। ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে; হত্যা, হামলা, গ্রেফতার করে তা ঠেকানো যাবে না। 

সরকারকে হুঁশিয়ার জানিয়ে মঞ্চের নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতিটি হত্যার বিচার করা হবে। সেই দিন বেশি দূরে নয়। অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতৃবৃন্দ।        

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতৃবৃন্দ সন্ধ্যার পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থানরত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সংহতি জানাতে রওনা হোন। নাইটিংগেল মোড়ে পৌঁছালে সেখানে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে সেখান থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হন নেতৃবৃন্দ।

এদিকে, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আন্দোলনের বিষয়ে আগামীকাল বেলা ১২টায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করবে গণতন্ত্র মঞ্চ।   

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর