টঙ্গীতে শান্তিপূর্ণভাবে তিন দিনব্যাপী তাবলিগ জামাতের প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা চলছে। ফজরের নামাজের পর বয়ানের মাধ্যমে আজকের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এবারের বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি নানা বিড়ম্বনা উপেক্ষা করে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে ছুটে এসেছেন।
শুক্রবার প্রথম দিনে বাদ ফজর থেকে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার থেকে বিশ্ব ইজতেমার বয়ান শুরু হয়েছে। রবিবার আখেরি মুনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে। অন্যান্য বছরের মতো এবারো উপস্থিত লাখ লাখ মুসল্লির উদ্দেশে যথারীতি তাবলিগের ৬ উসুল অর্থাৎ কালেমা, নামাজ, এলেম ও জিকির, একরামুল মুসলিমিন, সহিহ নিয়ত ও তাবলিগ ইত্যাদি বিষয়ে আমবয়ানের মাধ্যমে ইজতেমার প্রথম পর্বের তিন দিনের কার্যক্রম শুরু হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম জানান, ইজতেমার নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে পুরো টঙ্গীজুড়ে। ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় ছিনতাই-পকেটমারসহ অপরাধ কার্যকলাপ রুখতে টহলটিম রয়েছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। র্যাবও ইজতেমা ময়দানে ওয়াচ-টাওয়ার সিসি ক্যামেরা ও কন্ট্রোলরুম স্থাপন করেছে।
তিনি বলেন, রবিবার আখেরি মুনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমায় অংশ নেয়া মুসল্লি ছাড়াও আশপাশের এলাকা থেকে অসংখ্য মুসল্লি আখেরি মুনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমা এলাকায় আসেন। সেটির জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মুসল্লিদের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। শনিবার মধ্যরাত হতে টঙ্গী ব্রিজ, কামারপাড়া ব্রিজ, ভোগড়া বাইপাস, মীরেরবাজার এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে ইজতেমা সংলগ্ন এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হবে। ইজতেমা শেষে যাওয়ার সময় একই ব্যবস্থাপনা অব্যাহত থাকবে। আমরা নাগরিকদের কাছে আশা করব তারা যেন সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখার জন্য। রাস্তায় যে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করবে তাদের সহযোগিতা করবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন