বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসায় কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারের সকল ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহেল কামরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ১৩ মে ও ১৪ মে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বিমানবন্দর এর সকল ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। তবে, বাতিল ফ্লাইটগুলো কীভাবে সমন্বয় করা হবে সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।এদিকে, চটগ্রাম, কক্সবাজার বন্ধ হয়ে গেলেও ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বিমানবন্দরের ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকবে। তবে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে।
উল্লেখ্য, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার ঝুঁকি বিবেচনায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ সতর্কতা বিষয়ক সংস্থা গ্লোবাল ডিজাস্টার অ্যালার্ট অ্যান্ড কো–অর্ডিনেশন সিস্টেম (জিডিএসিএস)।
জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় কমিশনের একটি সহযোগিতামূলক ফ্রেমওয়ার্ক হচ্ছে জিডিএসিএস। সংস্থাটি বলছে, মোখার ঝুঁকিতে রয়েছে ২৮ লাখ মানুষ। এদের মধ্যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ২০ লাখ এবং বাংলাদেশের রয়েছে প্রায় আট লাখ মানুষ।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক