বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সংবিধান সংশোধন করার কারণে দেশের সর্বত্র সংকট চলছে। চিকিৎসা ও শিক্ষাখাতে খুবই খারাপ অবস্থা। শিল্প-বাণিজ্য সব খাতে খারাপ অবস্থা। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার নামে দেশে ডিজিটাল চুরি ও লুটপাট চালানো হচ্ছে।’
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেজন্য আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের মাধ্যমে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। আর সে জন্যই বিএনপির এক দফা আন্দোলন চলছে।’
চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক সংকট ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে ড্যাব।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মেহেদী হাসানের পরিচালনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ড্যাব মহাসচিব মো. আবদুস সালাম, বিএমএ’র সাবেক সভাপতি একেএম আজিজুল হক, সাবেক মহাসচিব গাজী আব্দুল হক, পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডা. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘অত্যাচারী, অনির্বাচিত ও দায়হীন সরকারের পক্ষে সবকিছুই করা সম্ভব। সেটিই এখন হচ্ছে। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বর্তমান সরকারকে চায় না। কিন্তু সেটা প্রমাণের সুযোগ তাদের দেওয়া হচ্ছে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দেশে কীভাবে নির্বাচন হয়েছে তা সবাই জানেন।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলন-সংগ্রামে বিজয়ী হলে আবারও রাষ্ট্র পরিচালনায় যাবে। আজকে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়ে পাচার করলেও কোনো অভিযোগ নেই। ফরিদপুরের এক ছাত্রলীগ নেতা দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। সেটির কোনো বিচার নেই। অথচ খালেদা জিয়া একজন বয়স্ক নারী, তিনি দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না সরকার। জামিনও দিচ্ছে না।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ