২ অক্টোবর, ২০২৩ ১৮:১৯

খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় হত্যা করতে চায় সরকার : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় হত্যা করতে চায় সরকার : মির্জা ফখরুল

কৃষক দলের সমাবেশে নেতাকর্মীরা। ইনসেটে বক্তব্য দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

খালেদা জিয়াকে কোনো সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘মিথ্যা প্রতারণা করে জনগণকে ভুল বুঝিয়ে, আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় সরকার হত্যা করতে চায়’।

আজ সোমবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে এসব কথা বলেন। সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কৃষক সমাবেশের এই আয়োজন করে কৃষক দল।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা যে কথাগুলো বলছেন, সেটার উদ্দেশ্য একটাই তারা আসলে কাপুরুষ-ভীতু। তারা জানে খালেদা জিয়া যদি সুস্থ হয়ে যান, আবার জনগণের মধ্যে ফিরে আসেন, তার ডাকে কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে। তখন তাদের ধ্বংস হয়ে যাবে’। 

খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় ৯ মাস কারাগারে বন্দি ছিলেন উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমি সবসময় বলি বাংলাদেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা হচ্ছেন খালেদা জিয়া। এই কথা বললে তাদের (আওয়ামী লীগ নেতাদের) গায়ের মধ্যে আগুন জ্বলে। কারণ, তারা তো মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ছিল না’। 

কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দল নেতা নাসরিন হায়দার, জামাল উদ্দিন খান মিলন প্রমুখ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দুপুর থেকেই নয়াপল্টনের আশপাশের এলাকা থেকেও খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন নেতাকর্মীরা। ঢাকার বিভিন্ন ইউনিট থেকে ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন তারা। অনেক নেতাকর্মী কৃষকের সাজেও সেজেছেন। তাদের মাথায় টুপি, হাতে কাস্তে, ধান এবং কৃষকের প্রতিচ্ছবি দেখা গেছে। এ সময় তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। সমাবেশকে ঘিরে নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। 

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মো. সুমন ভূঁইয়া ও সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজ, ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, ইউনুস মৃধা, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন সরদার, হাজী মো. ইউসুফ, আকবর হোসেন নান্টু ভূঁইয়া,আদাবর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হাসান জীবন, মোহাম্মদপুরথানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এস আহমাদ আলী, মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুম খান রাজেশ, শ্যামপুর থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলীম আল বারী জুয়েল, ডেমরা থানা বিএনপির সাবেক ছাত্রনেতা মনির হোসেন খান, মিরপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আব্দুল মতিন ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী দেলোয়ার হোসেন দুলু, মিরপুর থানা বিএনপি নেতা মো. হালিম উল্লাহ মজুমদার,  কাফরুল থানা বিএনপির আহ্বায়ক একরাম হোসেন বাবুল, যুগ্ম আহ্বায়ক আকরামুল হক ও সাব্বির দেওয়ান জনি, ভাটারা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সেলিম মিয়া, যুবদল মোহাম্মদপুর থানার সাবেক সভাপতি জাহিদ হোসেন মোড়ল, স্বেচ্ছাসেবক দল মিরপুর থানার আহ্বায়ক ফিরোজ আহমেদসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর