আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীর মোট সদস্য সংখ্যা বর্তমানে দুই লাখ চার হাজার ৫৯৬ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৬২ হাজার ১২৫ জন সেনাবাহিনী। ২৫ হাজার ৮১ জন নৌবাহিনীর এবং ১৭ হাজার ৩৯০ জন বিমান বাহিনীর সদস্য।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশনের গতকালের বৈঠকে রহিম উল্লাহর (ফেনী-৩) প্রশ্নের জবাবে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে তিনি এ তথ্য জানান। আইনমন্ত্রী বলেন, এই তিন বাহিনীতে প্রায় ২১ হাজার বেসামরিক ব্যক্তি কাজ করছেন। এর মধ্যে সেনাবাহিনীতে ১৩ হাজার ৪০৮, নৌবাহিনীতে তিন হাজার ৮০০ এবং বিমান বাহিনীতে ৩ হাজার ৬৮৬ জন বেসামরিক ব্যক্তি আছেন।
চীনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত : নুরুন্নবী চৌধুরীর (ভোলা-৩) প্রশ্নের জবাবে নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন আনিসুল হক। তিনি বলেন, নতুন যুদ্ধ জাহাজ, হেলিকপ্টার, সমুদ্রে টহলের জন্য বিমান এবং সাবমেরিনসহ বিভিন্ন ঘাঁটির কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য জনবল বৃদ্ধি ও সাংগঠনিক কাঠামো তৈরির কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আনিসুল হক জানান, সাবমেরিন ঘাঁটি তৈরির জন্য ৩৩৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণের জন্য চীনের সঙ্গে নৌবাহিনীর একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ ছাড়া মাইন ওয়ারফেয়ারের সক্ষমতা বাড়াতে চারটি মাইন সুইপার এবং প্রশিক্ষণের জন্য একটি জাহাজ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নৌবাহিনীর জন্য দুটি মাল্টিরোল মেরিটাইম হেলিকপ্টার কেনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, খুলনা শিপইয়ার্ডে দুটি বড় আকারের টহল নৌযান তৈরির কাজ চলেছে। দুটি নতুন করভেট তৈরির জন্য ২০১৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর চীনের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে। নৌবাহিনীর জন্য সমরাস্ত্র তৈরিতে স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে দেশে মিসাইল ও আইএফএফ (শত্রু-মিত্র চিহ্নিতকরণের যন্ত্র) তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।