সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রসারের মাধ্যমে শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ২১ দিনের ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২০’। গতকাল ছিল এই উৎসবের দশম দিন। যথারীতি জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে বিকালে একাডেমির নন্দনমঞ্চে শুরু হয় এদিনের আয়োজন। এরপর অ্যাক্রোবেটিক শো পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীরা। এদিন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পর্বে দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে সাফিন, শুপ্ত, শুসমি, মেহজাবিন ও জাবের। একক আবৃত্তি করেন নায়লা তারান্নুম কাকলী। দলীয়নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যসারথী। সমবেতসংগীত পরিবেশন করে বাংলাদেশ নজরুলসংগীত সংস্থা। এ ছাড়া জেলা পরিবেশনা পর্বে নিজ নিজ জেলার ঐতিহ্য সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালায় অংশ নেয় দিনাজপুর, ‘মাদারীপুর, রংপুর ও পাবনা জেলার শিল্পীরা। সবশেষে রাত ৮টায় একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে দিনাজপুরের শিল্পীরা পরিবেশন করে জেলাটির ঐতিহ্যবাহী ‘পালাটিয়া’। ২৩ জানুয়ারি শেষ হবে ২১ দিনের এই উৎসব। এসব সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞে অংশ নিচ্ছেন সারা দেশের ৬৪টি জেলা, ৬৪টি উপজেলা এবং জাতীয় পর্যায়ের পাঁচ হাজারের অধিক শিল্পী ও শতাধিক সংগঠন।