রবিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

ভারতে বাংলাদেশি কিশোরীকে ধর্ষণ আটক ২

কলকাতা প্রতিনিধি

সংসারে আর্থিক সচ্ছলতা ফেরাতে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছিল এক কিশোরী। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশের পরই সে ধর্ষণের শিকার হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় ও পুলিশের হস্তক্ষেপে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের।

গতকাল দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বাগদা থানার পুলিশ। এদিনই তাদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। অন্যদিকে প্রশাসনের তরফে কিশোরীকে হোমে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, কাজের সন্ধানে বাংলাদেশের শরীয়তপুর পুটিয়াকান্দি গ্রামের ওই কিশোরী বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসে। অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে সে ওঠে বাগদার হরিহরপুর নামক এলাকায়।

জানা গেছে, হরিহরপুরের বাসিন্দা শরিফুল মলিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার সঙ্গেই চোরাই পথে ভারতে আসে। এরপর শরিফুলের বাড়িতেই অবস্থান করতে থাকে ওই কিশোরী। শরিফুল তাকে আশ্বাসও দেয় কয়েকদিনের মধ্যেই তাকে কোনো ভালো কাজ পাইয়ে দেওয়ার। কিন্তু এরই মধ্যে বাড়ি থেকে ওই কিশোরীকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে শরিফুল ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। শুধু শরিফুলই নয়, তাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তারই সহযোগী ২৮ বছর বয়সী মহসিন বিশ্বাসের বিরুদ্ধেও।

গত ১৪ অক্টোবর ওই কিশোরীর মুখ থেকেই ওই গ্রামের বাসিন্দারা বিষয়টি জানতে পারেন। এরপরই খবর দেওয়া হয় বাগদা থানায়। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ওই কিশোরী। তার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ শরিফুল ও মহসিন নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। আটক ব্যক্তিদের ভারতীয় দন্ডবিধির ‘প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস’ (পকসো) আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গতকাল তাদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠানো হলে আদালত চার দিনের পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দেয়। অন্যদিকে কিশোরীকে হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে এ কাজে জড়িত। দরিদ্রতার সুযোগ নিয়ে কাজের লোভ দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করে দিত নারীদের। আটক দুই যুবকের প্রকৃত পরিচয় এবং তাদের সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

সর্বশেষ খবর