ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘শুধু আইনের প্রয়োগ করে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের মতো সামাজিক সংকটের সমাধান সম্ভব নয়। বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতার কারণে প্রত্যক্ষদর্শীরা সাক্ষ্য দেওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং অপরাধীদের ভয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার ঝুঁকি নিতে চায় না। একই সঙ্গে দেরির কারণে মানুষের আবেগও কমে যায়।’ গতকাল এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘গণজাগরণই পারে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধ করতে’ শীর্ষক ‘ছায়া সংসদ’ বিতর্কে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। আরও বক্তব্য রাখেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়।
প্রতিযোগিতায় প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে কুমিল্লা ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন হয়।
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন ড. এস এম মোর্শেদ, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফ, সাংবাদিক মৌ খন্দকার, শাহনাজ শারমীন ও অনিমেষ কর।
কমিশনার বলেন, ‘কুমিল্লায় সাম্প্রদায়িক উসকানির ঘটনায় পুলিশের কেউ দায়ী কি না তা তদন্ত হওয়া উচিত। কারণ একটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) যখন মন্ডপ থেকে পবিত্র গ্রন্থ কোরআন উদ্ধার করেন তখন কীভাবে সেটি ফেসবুকে লাইভ সম্প্রচার হলো তা খতিয়ে দেখা উচিত। কুমিল্লার ঘটনায় কোনো রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে কি না তা নিয়ে তদন্ত চলছে। কিছু নাম আমরা পেয়েছি। সেগুলো নিয়েও তদন্ত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ায় অসাম্প্রদায়িকতার শিক্ষা দেওয়া হয় না। তাই আমরা যথাযথভাবে দেশপ্রেমিক নাগরিক গড়ে তুলতে পারছি না। ফলে বিভিন্ন সময়ে সমাজের কেউ কেউ সাম্প্রদায়িক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছেন।