কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষার্থী চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাসিন্দা (২৪)। তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী। নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে ওই শিক্ষার্থীর মেসের মালিক ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক আবুল হোসেন (৭০) ও তার স্ত্রী কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের একটি কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ইসমত আরা বেগমের (৫৬) বিরুদ্ধে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নির্যাতনের ঘটনার পর থানায় অভিযোগও করেন ওই শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থী গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন। অভিযোগে ওই শিক্ষার্থী লিখেন, আমি আট বছর ওই বাসার মেসে থেকে লেখাপড়া করি। বাবার অসুস্থতার কারণে ৬ সেপ্টেম্বর গ্রামের বাড়ি যাই। ৪ অক্টোবর দুপুরে মেসে এসে দেখি সব বইখাতা, চেয়ার-টেবিলসহ অন্যান্য আসবাবপত্র রুমের বাইরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। রুমের তালা ভাঙা, ব্যবহারের গহনা ও নগদ টাকা নেই। বাসার মালিককে এর কারণ জানতে চাইলে গালমন্দ করেন। বাসার মালিকের স্ত্রীকেও বিষয়টি জানাই। একপর্যায়ে স্বামী-স্ত্রী মিলে আমাকে চুল ধরে কিল, ঘুষি, লাথি, থাপ্পড় দিয়ে আহত করেন। কেউ একজন ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একজন নারী ওই শিক্ষার্থীকে চুল ধরে টেনে মারধর করছেন। এ সময় ওই শিক্ষার্থী চিৎকার করছেন এবং এ ঘটনার প্রতিবাদ করছেন। পাশে থাকা শিক্ষার্থীরা ওই নারীকে সরিয়ে নেন।
ওই শিক্ষার্থী বলেন, বাড়ির মালিক ও তার স্ত্রী নিয়মিত মেয়েদের ওপর অত্যাচার করেন। কয়েকজন মেয়ে এ ঘটনার পর আমাকে বলেছেন, আপু এমন ঘটনা আমাদের সঙ্গেও হয়। কিন্তু কিছুু করার থাকে না। আমার বাবা অসুস্থ তাই পরিবার ঘটনাটা বাড়াতে চাচ্ছে না। পরিবারসহ বসে সমস্যার সমাধান করেছি। উনারা ক্ষমা চেয়েছেন।
এদিকে একাধিকবার ফোন করলেও রিসিভ না করায় অভিযুক্ত মেসের মালিক আবুল হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, ঘটনাটা শুনেছি। খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারব।