ঝিনাইদহে সদর উপজেলার সুরাট ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয় থেকে সরকারি প্রণোদনার সার ও বীজ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. কামরুজ্জামান জানান, প্রণোদনার সার ও বীজ উপজেলা থেকে ছবিযুক্ত মাস্টার রোলের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়ে থাকে। পাঁচজন কৃষকের গ্রুপ করে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। আসল ঘটনা হলো- রাত গভীর হওয়ায় কৃষকরা সার ও বীজ হয়তো সেখানে রেখেছিল। তাছাড়া অন্য কিছু না।
সুরাট ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা ইকবাল হোসেন অভিযোগ করে জানান, গত ৫ আগস্টের পর ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকদের বিশেষ সরকারি প্রণোদনার সার ও বীজ বিতরণের জন্য শীর্ষ দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর কাছ থেকে তালিকা সংগ্রহ করে। সেই মোতাবেক শুক্রবার সকালে সুরাট ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীকে সরিষা বীজ ২২ কেজি, মসুরের বীজ ৩৫ কেজি এবং ৮ বস্তা পটাস ও ফসফেট সার বিতরণ করা হয়। দিনভর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী ওই কৃষিজাত পণ্যের মধ্যে সরিষা বীজ ১৬ কেজি ও মসুরের বীজ ১৫ কেজি বিতরণ করে। বাকি ৬ কেজি সরিষার বীজ, ২০ কেজি মসুরের বীজ ও প্রতি বস্তা ৫০ কেজি করে ৮ বস্তা সার জামায়াতে ইসলামীর সুরাট ইউপি কার্যালয়ে রক্ষিত ছিল। যা শনিবার (গতকাল) বিতরণ করার কথা ছিল। অথচ থানা বিএনপির সহসভাপতি এবং জেলা বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক ও সুরাট ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন জামায়াতে ইসলামীকে ফাঁসানোর জন্য মধ্যরাতে ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামীর অফিসের তালা ভেঙে কথিত বীজ ও সার উদ্ধারের নাটক সাজায়।
বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন বলেন, শত শত মানুষের সামনে বীজ ও সার উদ্ধার করা হয়েছে। অথচ জামায়াতে ইসলামী আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।