৫ দিনে বিশেষ এক অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থান থেকে ২০৫৯ বিদেশিকে গ্রেফতার করেছে মার্কিন ইমিগ্রেশন এজেন্টরা। এরা অবৈধভাবে বসবাস করছিল এবং গুরুতর অপকর্মে লিপ্ত ছিল। সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করেন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আলেজান্দ্রো মেয়রকাস।
এ সময় তিনি জানান, সেপ্টেম্বরে সমাপ্ত গত অর্থ বছরে ৩ লাখ ১৬ হাজার অবৈধ ইমিগ্র্যান্টকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে শতাধিক বাংলাদেশিও ছিল বলে ইমিগ্রেশন বিভাগ জানায়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৯১২ জনের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। ৪৭৬ জনকে ইতোপূর্বে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করার পর আবারও অবৈধ পথে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, অবৈধভাবে বসবাসরতদের মধ্যে যারা যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ নাগরিকদের মা-বাবা অথবা স্বামী/স্ত্রী, তাদেরকে ৩ বছর মেয়াদী ওয়ার্ক পারমিটের একটি নির্দেশ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে রিপাবলিকানরা আইনগত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। রিপাবলিকান সমর্থক ২৬ অঙ্গরাজ্য সম্মিলিতভাবে ওবামার ওই নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে টেক্সাসের ফেডারেল কোর্টে মামলা করেছেন। মামলার শুনানির দিনেই ওবামার সেই আদেশের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ আরোপ করা হয়েছে। ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্যে ওবামার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের আইনমন্ত্রী টেক্সাসের আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন। ৯ মার্চ ছিল সে আবেদনের শুনানির তারিখ। কিন্তু বিচারক জারিকৃত স্থগিতাদের প্রত্যাহার করেননি।
১৮ মার্চ পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন। এর ফলে ইমিগ্র্যান্ট কম্যুনিটিতে পুনরায় হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। ওবামার ওই নির্বাহী আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কমপক্ষে ৪৫ লাখ অবৈধ ইমিগ্র্যান্ট বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সুযোগ পেয়েছিলেন এবং তারা আদেশ অনুযায়ী আবেদনের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।
রিপাবলিকানরা ওই মামলায় উল্লেখ করেছেন যে, ২০১৩ সালে ওবামা প্রশাসনের গ্রিন সিগনাালে ৬৮ হাজার ক্রিমিনালকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এই অপরাধীরা ইমিগ্রেশনের আইন লংঘন করে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন এবং একইসঙ্গে নানা অপরাধে লিপ্ত ছিলেন। এভাবেই ওবামা প্রশাসন আইন লংঘনকারী বিদেশিদের বৈধতা প্রদানের প্রক্রিয়া অবলম্বন করেছেন বলেও রিপাবলিকানরা মামলার আর্জিতে উল্লেখ করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ১০ মার্চ, ২০১৫/ রশিদা