যুক্তরাজ্যের হারমন্ডসওয়ার্থ ডিটেনশন সেন্টারে গত রবিবার থেকে অনশন করছেন বন্দিরা। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, উন্নত জীবনমান, খাবার-দাবার ও চিকিৎসা সেবার দাবিতে ব্যায়ামাগারের বাইরে প্রায় ১০০ হাজতি এই অনশন শুরু করেন। পরে তাদের সাথে আরও কয়েকশ' হাজতি অনশনে যোগ দেন। যার মধ্যে প্রায় ২৫০ জনের মতো বাংলাদেশিও রয়েছেন।
হোম অফিসের ভাষ্যমতে, কার্যকর অভিবাসন আইনে এই ডিটেনশন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে আটককৃতদের কল্যানমূলক সেবা দেওয়া হয়। এখানে ৬১৫ জন পুরুষবন্দি আটক আছেন যাদেরকে দেশে ফেরৎ পাঠানোর জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। সব প্রচেষ্টার পর শেষ অবলম্বন হিসেবে ব্যবহার করা হয় ডিনেটশন। সব সুযোগ দেওয়ার পরও যারা স্বেচ্ছায় নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করেননি তাদেরকেই আমরা আইনের মাধ্যমে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাচ্ছি।
অনশনকারী বাংলাদেশি যুবক জাকির ফোনে কথা বলেন প্রতিবেদকের সাথে। তিনি জানান, মূলত ফার্ষ্ট ট্রাক ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে কাউকে কোন ধরণের সুযোগ না দিয়ে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এর প্রতিবাদেই চলছে আমাদের অনশন। কেউ কেউ বিনা বিচারে পাঁচ ছয় মাস যাবত এখানে বন্দি আছেন। কেউ আবার নিজের খরচেই দেশে যেথে ইচ্ছুক তাদেরকেও দেশে পাঠানো হচ্ছে না। কিছু বন্দি আছেন যারা নিজেদের দেশে ফিরে গেলে সত্যিই যাদের জীবন বিপন্ন।
জানা গেছে, অনশনের কারণে ইতোমধ্যে আফগানিস্তানের একটি ফ্লাইট বাতিল করেছে হোম অফিস।
বিডি-প্রতিদিন/১৩ মার্চ ২০১৫/ এস আহমেদ