ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের রাজধানী সাক্রামেন্টোর পাশের শহর ডেভিসের হারপার জুনিয়র হাই স্কুল মিলনায়তনে পেশাজীবী বাংলাদেশিদের ব্যতিক্রমধর্মী এক অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হলো জন্মভূমির দায়মুক্তির সংকল্প। দারিদ্র্য-জর্জরিত সত্ত্বেও যে দেশের পাবলিক স্কুল-কলেজ উচ্চতর শিক্ষা প্রদান করেছে এবং যে শিক্ষার ওপর ভর করে স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় এসে উন্নত জীবন-যাপনের ক্ষেত্র প্রসার করা সম্ভব হয়েছে, সেই দেশের মানুষের জন্যে স্বতস্ফূর্তভাবে কিছু করার অঙ্গীকার গ্রহণ করলেন উপস্থিত সকলে। এভাবেই শনিবার সন্ধ্যায় বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ ঘটলো ‘হিউম্যানিটি বিয়োন্ড ব্যারিয়ার্স’র (Humanity Beyond Barriers) নামক সেবামূলক একটি অলাভজনক সংস্থার। তথ্য-প্রযুক্তির রাজধানী হিসেবে খ্যাত সিলিকন ভ্যালিসহ বৃহত্তর সাক্রামেন্টোর বাংলাদেশী প্রবাসীদের সমন্বয়ে অত্র অঞ্চলে এটি হচ্ছে প্রথম একটি মানবিক উদ্যোগ।
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশষে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলোকে সাহায্যের অঙ্গীকার নিয়ে গঠিত এই সংস্থার প্রাথমিক কাজ হচ্ছে সেই সব মানুষকে সাহায্য করা, যারা তাদের অজ্ঞতার অভাবে একটি পরিপূর্ণ জীবন থেকে বঞ্চিত। এই শতাব্দীতেও বিশ্বের অনুন্নত দেশগুলোর অনেক মানুষ তাদের কুসংস্কার, অজ্ঞতা, রোগ এবং দারিদ্র্য-এসব কারণে একটি দীর্ঘ, সুস্থ ও সমৃদ্ধ জীবন ভোগ করতে পারে না। অনেক জীবন ঝরে যায় তার শুরুতেই। সম্পূর্ণভাবে বিকশিত হতে পারে না অনেক সম্ভবনাময় জীবন। অজ্ঞতা এবং কুসংস্কার দূর করে মানুষ যাতে তাদের দারিদ্র্য ও রোগ মুক্ত ভবিষ্যতের দিকে পা বাড়াতে পারে, পারে একটি দূষণমুক্ত সুস্থ পরিবেশের জন্ম দিতে, পারে একটি শিশুর সুন্দর-সম্ভাবনাময় জীবন উপহার দিতে-সে লক্ষে ওইসব মানুষের পাশে দাঁড়াবে এই সংস্থা।
‘হিউম্যানিটি বিয়োন্ড ব্যারিয়ার্স’র সভাপতি ড. সেলিম বলেন, ‘আমি বিগত ১০ বছর ধরে এমন একটি সেবামুলক প্রতিষ্ঠান গঠনের লক্ষ্যে এর কাঠামো পরিকল্পনা ও অন্যান্য সাংগঠনিক মৌলিক তথ্যাদি নিয়ে কাজ করছিলাম এবং কম্যুনিটির সভা-সমাবেশেও সে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছি। আমার সে স্বপ্ন এখন বাস্তবায়িত হওয়ার পথে। আমি আজ অনেকটাই সফল, কারণ এই সমাজের অনেকে আমার স্বপ্নের সাথী হলেন।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয় ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল চৌধুরী এবং ইঞ্জিনিয়ার সায়েমা শহীদ চৌধুরীর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। এরপর নবগঠিত এ সংস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন সংস্থাটির পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও কোষাধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার এম আর খন্দকার, পরিচালক ও জেনারেল সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার আকীম কবির, পরিচালক ডা. হালিমা করিম, ইঞ্জিনিয়ার জাওদাত রহমান, প্রফেসর র্যামন্ড রোডরিগয়েজ (ভাইস প্রেসিডেন্ট) এবং প্রফেসর জিম কালার।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৪ জুন, ২০১৫/ রশিদা