ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিকের বক্তব্য মুগ্ধ হয়ে শুনলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার হাউস অব কমন্সে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য (মেইডেন স্পিচ) দেন টিউলিপ। গত ৭ মে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী হাউস অব কমন্সের গ্যালারিতে বসে স্বজনদের নিয়ে টিউলিপের বক্তব্য শোনেন। তার সঙ্গে ছিলেন টিউলিপের মা শেখ রেহানা, ভাই রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, স্বামী ক্রিস পার্সি, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
যুক্তরাজ্যের সংসদীয় গণতন্ত্রের ঐতিহ্য অনুযায়ী নতুন নির্বাচিত এমপিরা পার্লামেন্টে একটি আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেন। এটিকে বলা হয় ‘মেইডেন স্পিস’।
অধিবেশনের সঞ্চালক হাউস অব কমন্সের ডেপুটি স্পিকার লিন্ডসে হোলি স্থানীয় সময় বেলা ১টা ৬ মিনিটে টিউলিপ সিদ্দিককে তাঁর ‘মেইডেন স্পিস’ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা-না-থাকা নিয়ে আনীত বিলের ওপর আজ পার্লামেন্টে আলোচনা হচ্ছিল। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনের দিনে ‘মেইডেন স্পিসে’র সুযোগ করে দেওয়ার জন্য টিউলিপ বক্তব্যের শুরুতে স্পিকারকে ধন্যবাদ জানান। প্রায় ১০ মিনিটের বক্তব্যে টিউলিপ তার নির্বাচনী আসন হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্নের নানান ঐতিহ্য ও ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেন। উল্লেখ করেন তার নির্বাচনী এলাকার রাজনীতিক বেন ইউকেনহ্যামের কথা। যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
নিজের নির্বাচনী এলাকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা বলতে গিয়ে টিউলিপ বলেন, ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের ১৯ জন সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এরপর ওই পরিবারের দুই মেয়ে তার মা শেখ রেহানা ও খালা শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নিয়ে হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্নে থাকেন। তার আনুষ্ঠানিক বক্তব্য শুনতে স্বজনেরা যে হাউস অব কমন্সের গ্যালারিতে আছেন সে কথাও উল্লেখ করেন টিউলিপ। টিউলিপ বলেন, যুক্তরাজ্যে তার মায়ের আশ্রয় নেওয়ার গল্প থেকে এটা পরিষ্কার যে, শুধু অর্থনৈতিক কারণে অভিবাসীরা যুক্তরাজ্যে আসছেন, সেটা ঠিক নয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছয় দিনের ব্যক্তিগত সফরে যুক্তরাজ্যে আছেন। বুধবার তার বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৭ জুন, ২০১৫/ রশিদা