বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যে শুরু মাহে রমজান। এ উপলক্ষে আমিরাতের ব্যবসায়ীরা বেশির ভাগ পণ্যে দিয়েছেন বিশেষ ছাড়। বাদ পড়েনি ফল-মূল, সবজি-তরকারি, পোশাক ও তৈজসপত্রে। এ বরকতময় মাসে প্রতি বছর স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাংলাদেশি মালিকানাধী সুপার মার্কেট ও বিপনি বিতানগুলোতেও এ ছাড় দিয়ে আসছে ব্যবসায়ীরা । এতে বিক্রয়ে বেশ সাফল্যও পেয়েছেন বলে জানান বাংলাদেশি বেশ কিছু ব্যবসায়ী। পণ্যে বিশেষ ছাড় ও মান বিবেচনায় সস্তা পেয়ে অনেক প্রবাসী আমিরাত থেকে মালামাল কার্গোর মাধ্যমে পাঠাছেন নিজ নিজ দেশে।
অথচ এর ঠিক উল্টো চিত্র দেখা যায় বাংলাদেশে। বিশ্বের দ্বিতীয় সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলিম দেশ হয়েও বাংলাদেশে রমজান কিংবা ধর্মীয় অনুষ্ঠান আসলে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রন করার অভিযোগ আসে। বাড়িয়ে দেয় দ্রব্যমূল্য। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে আমিরাতকে অনুকরণ ও রমজানে দ্রব্যের মূল্য ঊর্ধ্বগতি রোধ করার জন্য দেশের ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ করেছেন প্রবাসীরা বাংলাদেশিরা।
আবুধাবী মদিনা জাহেদ শপিং মলে আগত এক ক্রেতা মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, 'দেশ মাতৃকার মায়া ত্যাগ করে পরদেশে আসা প্রবাসীরা রমজানে এমন বিশেষ ছাড় পেয়ে খুবই খুশি। আশা করছি, দেশের ব্যবসায়ীরাও রমজান উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম মানুষের নাগালের মধ্যে রাখবে।'
আবুধাবীর স্থানীয় ব্যবসায়ী জয়লাম আবেদীন বলেন, 'আমিরাতের ব্যবসায়ীরা রমজান মাসে ব্যবসার চেয়েও মানুষকে সেবা দেয়াটাই বেশি শ্রেয় মনে করেন। দেশে একদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য উর্ধ্বমূখী, অন্যদিকে মান নিন্মমুখী হওয়ায় পরিবারের জন্য অনেক মালামাল আমরা কার্গোর মাধ্যমে দেশে পাঠাচ্ছি। বছরের শ্রেষ্ঠতম মাসে আরব আমিরাতের ব্যবসায়ীদের মতো দেশের ব্যসবসায়ীরাও ভেজাল মুক্ত ও জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে পণ্যের মূল্যে লাগাম ধরবে বলে প্রত্যাশা সবার।'
বিডি-প্রতিদিন/ ১৮ জুন, ২০১৫/ রশিদা