পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারসোর প্রেষ্টিজিয়াস ভ্যানু ক্যাসল প্যালেসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইউরোপের অন্যতম মর্যাদাকর ফিল্ম অফ আর্ট এন্ড ট্যুার ফ্যাষ্টিভাল ২০১৫।
বিদেশ বিভূইয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সেরা তথ্যচিত্র নির্মাতাদের সামনে বাংলাদেশে নির্মিত বাংলাদেশ ট্যুারিজম বোর্ডের অর্থায়নে নির্মিত বিউটিফুল বাংলাদেশ-স্কুল অব লাইফ অনুকরনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১২ সালে এই তথ্যচিত্র সেরা তথ্যচিত্রের পুরুষ্কার পাওয়ার পর এর আদলেই নির্মিত হয়েছে পোল্যান্ড ইজ বিউটিফুল, বিউটিফুল প্রাগ নামের তথ্যচিত্র!
নির্মাতা থেকে শুরু করে খোদ আয়োজক সবার মুখেই জয় জয়কার বিউটিফুল বাংলাদেশ-ল্যান্ড অব হিষ্ট্রির।
ফ্যাষ্ট্রিভালের বিচারক ২০০৮ সালে টম এন্ড ওল্ফ ছবির জন্য অস্কার পাওয়া প্রযোজক ঝুমুতসকি আজ তার উদ্বোধনী বক্তৃতায় বলেছেন, এই তথ্যচিত্র দেখার আগে বাংলাদেশ আমার কাছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর পাগলের মতো কাজ করা মানুষের একটি দেশের ছবি ছিলো। আমার সেই ধারনা পুরো বদলে দিয়েছে মইনুল হোসেন মুুকুল নির্মিত ১০ মিনিটের তথ্যচিত্র বিউটিফুল বাংলাদেশ-স্কুল অব লাইফ। আমি বাংলাদেশ যেতে চাই।
ফ্যাষ্টিভালের আয়োজক কমিটির হেড অব ডিরেক্টর ইভা কুটুস বলেন, বিউটিফুল বাংলাদেশ-স্কুল অব লাইফ ১০ মিনিটের তথ্যচিত্র আমাদের সকলের চোখ খুলে দিয়েছে বাংলাদেশ সম্পর্কে। ২০১২ সালে এটি পুরুস্কার পেয়েছে। এবছর আমরা বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড অর্থায়নে গিয়াসউদ্দিন সেলিমের নির্মিত বিউটিফুল বাংলাদেশ-ল্যান্ড অব রিভারকে পুরুস্কার দিচ্ছি।
ইন্টারন্যাশনাল ট্যারিজম ফিল্ম ফ্যাষ্টিভাল কমিটির চেয়ারম্যান আলেকজান্দ্রা বলেন, বাংলাদেশ শুধুমাত্র তথ্যচিত্র বানিয়ে দায়িত্ব শেষ করছে, তাদেও উচিত এইসব তথ্যচিত্র নিয়ে মরিয়া হয়ে পৃথিবীর মূলধারায় কড়া নাড়া। নতুন এক বাংলাদেশ দেখার অপেক্ষায় পৃথিবী।
২০১২ সালে পুরুস্কার পাওয়া বিউটিফুল বাংলাদেশ-স্কুল অব লাইফের নির্মাতা মইনুল হোসেন মুকুলকে এবার পুরুস্কার ও সার্টিফিকেট হস্তান্তর করা হচ্ছে।
তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এটা আমার পরম সৌভাগ্য যে আমার নির্মিত এই তথ্যচিত্র আজ অনেক দেশের জন্য অনুকরণীয়। বাংলাদেশকে বিশ্বেও কাছে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে বিউটিফুল বাংলাদেশ-স্কুল অব লাইফ। তিনি ভবিষতে বিউটিফুল বাংলাদেশ নামে একটি পূর্নদৈর্ঘ্য কমার্শিয়াল ছবি বানানোর স্বপ্নের কথা বলেছেন এই ফ্যাষ্টিভালে।