শিরোনাম
- নিজ গ্রামে চিরনিদ্রায় শায়িত ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য
- কে এই রাফাল ধ্বংসকারী পাকিস্তানি নারী পাইলট আয়েশা?
- আফগানদের জন্য অস্থায়ী সুরক্ষা মর্যাদা বাতিল করলেন ট্রাম্প
- শেখ হাসিনাকে যেভাবে ফিরিয়ে আনা সম্ভব, জানালেন দুদক চেয়ারম্যান
- ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন
- বিচারপ্রার্থীদের সেবা সহজ করতে এবার সব আদালতে পৃথক হেল্পলাইন
- শিক্ষার্থীদের নতুন বিশ্ব গড়ার স্বপ্ন দেখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
- দোকানের কর্মচারীদের ব্যস্ত রেখে ১০০ ভরি স্বর্ণ নিয়ে চম্পট পাঁচ নারী
- মোংলা বন্দরে পাঁচ কোটি টাকার অবৈধ সিগারেট জব্দ
- মারামারির মামলায় ছেলেকে পুলিশে দিলেন বাবা
- ক্ষতিগ্রস্ত তিন রিকশাচালককে ডিএনসিসির অনুদান ও চাকরির আশ্বাস
- প্রচণ্ড তাপদাহের পর কুড়িগ্রামে বৃষ্টিতে জনজীবনে স্বস্তি
- মুস্তাফিজের আইপিএল অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা!
- জাপানে সামরিক প্লেন বিধ্বস্ত
- ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নিরাপদ জায়গায় রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে’
- আরব আমিরাতের উদ্দেশে দেশ ছাড়ল টাইগাররা
- সাম্যের গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম, দোষীদের ফাঁসির দাবি
- জুলাই অভ্যুত্থান: জাতিসংঘের রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল
- দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের ঘোষণা জবি শিক্ষার্থীদের
- সাম্য হত্যা : ঢাবিতে বৃহস্পতিবার শোক, অর্ধদিবস ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ
জাতিসংঘে বহুপাক্ষিকতাবাদ ও শান্তির কূটনীতি বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক দিবসে রাষ্ট্রদূত মোমেন
বিশ্বে এখন বহুপাক্ষিকতাবাদ অধিক প্রয়োজন
এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে
অনলাইন ভার্সন

'বিশ্বে এখন বহুপাক্ষিকতাবাদ পূর্বের যে কোনো সময়ের চেয়ে অধিক প্রয়োজন এবং এটি অর্জন সম্ভব হবে যদি জাতিসংঘ ও বহুপাক্ষিক ব্যবস্থা সার্বিকভাবে সকল অংশীজন, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, সুশীল সমাজ বিশেষ করে যুব সম্প্রদায়কে সাথে নিয়ে এজেন্ডা ২০৩০ সহ অন্যান্য প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন এবং নবসৃষ্ট সুযোগসমূহ পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে একযোগে কাজ করে যায়'।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ‘বহুপাক্ষিকতাবাদ ও শান্তির কূটনীতি বিষয়ক আন্তর্জাতিক দিবস’ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের প্লেনারি সভায় বক্তব্য প্রদানকালে এ অভিমত পোষণ করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
উল্লেখ্য, এবারই প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ ‘বহুপাক্ষিকতাবাদ ও শান্তির কূটনীতি’ বিষয়টির স্মরণে এবং এ জাতীয় পদক্ষেপসমূহ আরও বেগবান করতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই আন্তর্জাতিক দিবসটি পালন করে। আর এ উপলক্ষে উচ্চ পর্যায়ের এই প্লেনারি সভার আহ্বান করে সাধারণ পরিষদ।
বহুপাক্ষিকতাবাদ ও শান্তির কূটনীতির প্রেক্ষাপটে ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত ঐতিহাসিক ভাষণের কথা উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত মাসুদ। জাতির পিতার সেই ভাষণ থেকে উদ্ধৃতি টেনে তিনি বলেন, 'এই দুঃখ দুর্দশা সংঘাতপূর্ণ বিশ্বে জাতিসংঘ মানুষের ভবিষ্যৎ আশা আকাঙ্খার কেন্দ্রস্থল'।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহুপাক্ষিকতার পতাকা সমুন্নত রাখার বিশ্ব নেতা হিসেবে উল্লেখ করে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, টানা ১০ বছর যাবৎ তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের সপ্তাহে যোগ দিয়ে যাচ্ছেন এবং গুটিকয়েক বিশ্ব নেতার মধ্যে তিনি অন্যতম একজন যিনি এমডিজি ও এসডিজি উভয়টি গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
রাষ্ট্রদূত মাসুদ ‘শান্তির সংস্কৃতি’ ধারণাটি জাতিসংঘের মূলধারায় সংযুক্ত করা, জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা ও শান্তি বিনির্মাণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের টেকসই শান্তি ধারণাটি সমর্থন ও এগিয়ে নেওয়াসহ বহুপাক্ষিক প্লাটফর্মে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক আশ্রয়দানের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, জাতিসংঘের মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করার এ এক অনন্য নজির। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে দ্বিপাক্ষিক পদক্ষেপও অব্যাহত আছে মর্মে তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সরকার উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং টেকসই উন্নয়ন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সকল বৈশ্বিক উন্নয়ন এজেন্ডার বাস্তবায়নে ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে জাতিসংঘ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের এ সকল পদক্ষেপের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, এর থেকে প্রতীয়মান হয় বহুপাক্ষিকতাবাদ এর প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি ও বিশ্বাস কতটা গভীর।
জলবায়ু পরিবর্তন, জোরপূর্বক বাস্তুচুতি, সংঘাত, উগ্র-জাতীয়তাবাদ, সন্ত্রাসবাদ, উগ্রবাদ, অসাম্য, সাইবার আক্রমণ, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সঙ্কট ইত্যাদি বিষয়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রাষ্ট্রদূত মাসুদ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং বলেন, 'আমরা যদি ভাবি শুধু উন্নয়নশীল দেশের জন্যই বহুপাক্ষিকতাবাদের প্রয়োজন অন্যদের জন্য নয় তাহলে আমরা বোকার স্বর্গে বাস করছি”।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে শুধু চ্যালেঞ্জই রয়েছে এটি ঠিক নয়, আমরা এর নেতিবাচক দিকগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রেখে এবং এর অফুরান সম্ভাবনাকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগিয়ে মানব জাতির কল্যাণ সাধন করতে পারি”।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ রেজ্যুলেশন (অ/জঊঝ/৭৩/১২৭) এর মাধ্যমে ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ‘বহুপাক্ষিকতাবাদ ও শান্তির কূটনীতি’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বহুপাক্ষিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং শান্তির কূটনীতির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের মধ্যকার বিরোধসমূহের মীমাংসার ক্ষেত্রে এই দিবসটি পালন তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে বলে গৃহীত রেজ্যুলেশনটিতে বিধৃত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম
এই বিভাগের আরও খবর