প্রতিবারের ন্যায় এবারও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে মালায়েশিয়ার মুসলিমরা সিয়াম সাধনা শুরু করেছেন। সেই হিসেবে গত সোমবার ছিল এ দেশে এবারের প্রথম রমজান। তাই রমাজানের প্রথম দিনটা সবার কাটে নানান ব্যাস্ততায়। সারাদিন কর্ম ব্যস্ততার পর বিকালে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন ইফতারি আয়োজনে।
দেশের মত প্রবাসী বাংলাদেশিরা আগে থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নিতে থাকেন। তাদের ইফতারি আয়োজনে থাকে ছোলা, বুট, বেগুনি, পেঁয়াজু, খেজুরসহ বিভিন্ন ধরনের ফল। কর্ম ব্যস্ততার কারণে অনেকেই এসব ইফতার সামগ্রী সংগ্রহে রাখেন আগে থেকেই।
আর কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেস্টুরেন্ট গুলোতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ছিল শাহী হালিম, জিলাপী, বুরিন্দা পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুরচপসহ দেশীয় হরেক রকম ইফতারির নানা আয়োজন। বাদ আছরের পরপরই ক্রেতা বিক্রেতার হাঁক ডাকে জমে উঠে প্রবাসীদের ইফতার বাজার। এ যেন স্বল্প সময়ের পুরান ঢাকা।
ঘড়ির কাঁটা সন্ধ্যা সাতটা বিশ মিনিট বাজতেই ভেসে এলো আজানের ধ্বনি। সকলেই ইফতার গ্রহণ করেন। এভাবেই নানা আয়োজনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অতিবাহিত করেন রমজানের প্রথম রোজাটি।
রাজধানী কুয়ালালামপুর ছাড়াও সেলেঙ্গর, জহরবারু, পেনাং, সেরেম্বানসহ বিভিন্ন প্রদেশে বসেছে বাংলাদেশি ইফতার বাজার। মালয়েশিয়া আগামা ইসলামের (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) সময় সূচি অনুযায়ী সোমবার কুয়ালালামপুর ও আশপাশের এলাকার সেহরীর শেষ সময় ছিল ভোর পাঁচটা চৌত্রিশ মিনিট এবং ইফতার সাতটা বিশ মিনিট।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন