তালাকের প্রক্রিয়ায় থাকা স্ত্রীকে গ্রেফতার করে অবিলম্বে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আল সালভেদরে বহিষ্কারের জন্যে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) কর্মকর্তাকে নগদ ৪ হাজার ডলার ঘুষ প্রদানের মামলায় জেলে গেলেন ওরেগণ অঙ্গরাজ্যের পোর্টল্যান্ড সিটির এন্তোনিয়ো বারগস (৪৮)। গত সোমবার পোর্টল্যান্ডের ফেডারেল কোর্ট তাকে ৪ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। ইউএস ইমিগ্রেশন সার্ভিসের কর্মকর্তারা ৮ মে এ সংবাদদাতাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ২৪ মে বারগস পোর্টল্যান্ড আইস অফিসে যান। সেখানকার এক ডিপোর্টেশন অফিসারের গাড়ি অনুসরণ করে নিকটস্থ একটি পার্কে যান নিজ গাড়িতে। আইস অফিসারকে সে সময় বারগস নগদ ৩ হাজার ডলার দিতে চান। বিনিময়ে তার তালাকের অপেক্ষায় থাকা স্ত্রী এবং ওই স্ত্রীর আগের পক্ষের এক সন্তানকে ডিপোর্টের অনুরোধ জানান। আইস কর্মকর্তা সে অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন এবং অফিসে ফিরে ‘অফিস অব দ্য প্রফেশনাল রেসপন্সিবিলিটি’ (ওপিআর)কে অবহিত করেন। এ অবস্থায় ৩১ মে আইসের ওই অফিসার বারগসের সাথে টেলিফোনে কথা বলেন। সে সময় ওপিআর ইনভেস্টিগেশন টিমের লোকজন ছিলেন অন-রেকর্ড লাইনে। সে সময়েও বারগস তাকে ৩ হাজার ডলার প্রদানের বিনিময়ে তার স্ত্রী ও আগের পক্ষের সন্তানকে বহিষ্কারের অনুরোধ করেন। জুনের ৫ তারিখে পুনরায় ফোন করেন ওই কর্মকর্তা। সে কলও রেকর্ড করা হয়। এ সময় আইসের অফিসার তাকে সাক্ষাতে সবকিছু বলার কথা বলেন। সে অনুযায়ী ওই অফিসার পরের দিন অর্থাৎ ৬ জুন পূর্ব নির্ধারিত স্থানে সাক্ষাৎ করেন বারগসের সাথে। সে সময়ে ঘুষের পরিমাণ বাড়িয়ে ৪ হাজার ডলার দিতে চান। এ কথোপকথনও রেকর্ড করা হয় তদন্ত কর্মকর্তাগণের অফিস থেকে। এরপর ২৯ জুন বারগসকে গ্রেফতার করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম