রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে ভয়েস অব আমেরিকাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। ওই অডিও সাক্ষাৎকারে মোমেন জানান, বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১.১ মিলিয়ন। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে রোহিঙ্গারা এসেছে। যার সংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজার। এটাকে তিনি খুবই উদ্বেগজনক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জাতিসংঘ কী ভূমিকা রাখছে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, জাতিসংঘ বিশ্বের বিভিন্ন সংকটে ভূমিকা রাখছে। তাদের অনেক সংগঠন আছে। রোহিঙ্গা সংকটে তারা ইউএইনএইচসিআর মাধ্যমে ভূমিকা রাখছে। রোহিঙ্গা শিশুদের নিয়ে কাজ করছে ইউনিসেফ। তাদের খাবারের বিষয়টি দেখছে ডব্লিউএফপি। রোহিঙ্গারা নিজ বাসভূমে ফিরে যাওয়ার পরও জাতিসংঘের এসব ভূমিকা অব্যাহত থাকবে।
মোমেন আরও বলেন, জাতিসংঘ বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করছে। জাতিসংঘ চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু জাতিসংঘ ততটুকু করতে পারবে সদস্যরাষ্ট্রগুলো তাদের যতটুকু ক্ষমতা দেবে। তাদের সাহায্য সহযোগিতা করবে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়ে যে মিলিয়ন ডলার সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে তার ৩৩% বাস্তবায়িত হয়েছে। যেটা প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম। আর এ অর্থ আসবে দাতা দেশ থেকে।
রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জাতিসংঘের পদ্ধতিগত ব্যর্থতার বিষয়ে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, এখানে সফলতা কিংবা ব্যর্থতার বিষয় না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিসংঘকে যেভাবে তৈরি করা হয়েছিল, তাদের যে সনদ আছে নিরাপত্তা পরিষদের যে ফাংশানাল মেকানিজম আছে সে অনুযায়ী নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্তগুলো গৃহীত হয়। একজন সদস্যের যদি অসম্মতি থাকে বা ভেটো প্রদানের মতো বিষয় থাকে তাহলে জাতিসংঘের আর কিছু করার থাকে না।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা